আমি বড্ড বিপদগ্রস্ত আজ-
আমার যে কথা তোমার পক্ষে গেছে
তাকে স্বাগত জানাতে গিয়ে
তখন আমাকে মহান করেছো তুমি ।
আর আজ যখন কিছু কথা তোমার স্বপক্ষে যায়নি –
তখন পাটকেল ছুঁড়ে মারতে দ্বিধা করলে না।
যদিও সে কথাগুলো তোমার ভালোর জন্যই বলেছিলাম বলেই মনে হয়েছিলো আমার॥
আমি জানতাম, তোমার স্বপক্ষে না বললে,
প্রথমে মনে মনে বিষ পুষলেও পরে দাঁতমুখ খিঁচিয়ে তেড়ে আসবে আমার দিকে॥
আমার না বলা কুকথাকে আমার বক্তব্য আমার না করা অপকর্মকে আমার কর্ম বলে চালাতে আপনি দ্বিধা করবেন না॥
এই দেখেছেন মনের দূরত্বে ‘তুমি‘ কেমন ‘আপনি’ হয়ে গেছে ॥
এখন মনে হচ্ছে কেরিয়ারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মতো স্বপক্ষে বলারও একটা ধারাবাহিকতা রাখা উচিত॥
নাহলে প্রোমোশন বা ইনক্রিমেন্ট আটকানোর মতোই সম্পর্কটুকুও আটকে যাবে ॥
বুঝেছি গো বুঝেছি
বেশী বুঝে গেছি বলেই আমার কবিতায় আর আগুন ঠিকরোয় না-
রাগে কথা বলতে গিয়ে মুখ দিয়ে থুথু ছিটকে বেরোয় না॥
সব জেনে, বুঝে, দেখে, সব গুছিয়ে নিয়েও-
কেন জানি না দলাপাকানো একটা বিবেক বোধহয় গলা থেকে বের হয়ে গেছিলো সেদিন॥
সদ্যপ্রসবিনী মা যেমন সন্তান প্রসবের অসহ্য যন্ত্রনা সহ্য করে প্রসবের পর একটা প্রশান্তি অনুভব করেন আমিও তেমনই প্রশান্তি অনুভব করেছিলাম সেদিন ॥
সময়ের অভিঘাতে অনেক সন্তান যেমন ঐ গর্বিত মায়ের প্রশান্তিকে লাঠির এক ঘায়ে শুইয়ে দেয় মাটিতে আমার এই গর্বিত প্রশান্তিরও এই অবস্থা হবে না তো ?
ভয়ে সিঁটিয়ে আছি আমি …. ঐ মায়ের মতো॥