এইদিন ওয়েবডেস্ক,সাতক্ষীরা,০৬ সেপ্টেম্বর : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় পাইথালী দুর্গা মন্দির সমিতির সভাপতি এবং চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী বিজন কুমার দে (৬০)কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে । বুধবার সকালে কুন্দুড়িয়া এলাকার রাস্তার পাশের একটি বাগান থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং ধর্মীয় সংগঠনসহ সর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজন কুমার দে বাড়ি থেকে বাজারে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। রাতে না ফেরায় পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। নিহতের বড় ছেলে প্রণব দে জানান, তার বাবা প্রতিদিন নিয়মিত বাজারে যেতেন এবং ফিরে আসতেন, কিন্তু এদিন আর ফেরেননি। তাই তারা মৃত্যুর রহস্য দ্রুত উদঘাটনের জন্য পুলিশের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন।
মৃতের ভাই রঘুনাথ দে জানান, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে বিজন কুমার দে একা একটি ঘরে বসবাস করতেন। প্রতিদিন তার পুত্রবধূ ঘরে খাবার রেখে আসতেন এবং তিনি রাতে এসে খেয়ে নিতেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ঘরে গিয়ে দেখা যায় খাবার অক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে, যা থেকে বোঝা যায় তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর আসে যে কুন্দুড়িয়া চুমুরিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বাগানে তার মৃতদেহ পড়ে আছে।
বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, সকালে স্থানীয়রা লাল গেঞ্জি ও নীল প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্থানীয়রা মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করে বলেন, তিনি পাইথালী দুর্গা মন্দির সমিতির সভাপতি বিজন কুমার দে। পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হেফাজতে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন বলেন,মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি আরও জানান, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।।