এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা(বিহার),০৮ নভেম্বর : মঙ্গলবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নারী শিক্ষার গুরুত্বের বিষয়ে বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ‘অশ্লীল’ মন্তব্য করে বসলেন । জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়ার সময়, একজন শিক্ষিত মহিলা কীভাবে যৌন মিলনের সময় তার স্বামীকে আটকাতে পারেন তার একটি স্পষ্ট বর্ণনা রাজ্য বিধানসভায় তুলে ধরেন নীতীশ কুমার । তিনি দেহাতি শৈলীতে বলেছিলেন,’স্বামীর ক্রিয়াকলাপ আরও জন্মের দিকে পরিচালিত করে। তবে, শিক্ষার সাথে, একজন মহিলা জানে কিভাবে তাকে আটকাতে হয়… এই কারণেই সংখ্যা (জন্মের) কমে আসছে ।’
এনিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ‘এক্স’ ব্যবহারকারী শুভম শুক্লা লিখেছেন,’একজন মানুষ যখন বিয়ে করে, তখন সে প্রতি রাতে এটা করে। ভিতরে না…কিন্তু ভিতরে ঢুকবেন না…জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এমন বক্তব্য? বিধানসভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এই বক্তব্য দেখুন। বাড়িতেও নিশ্চয়ই নারী ছিল। দেশে কি এত উন্মুক্ততা এসেছে যে বিধানসভায় এমন কথা বলা যায়? পুরুষ বিধায়কও চোখ নামিয়ে নিলেন।’
সনত কুমার মিশ্র লিখেছেন,’নীতীশজি যদি এই কৌশলটি তাঁর লালু ভাই সাহেব এবং রাবড়ি ভাবী জিকে বলতেন, তাহলে একজন অশিক্ষিত ব্যক্তির পরিবর্তে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী হতেন।’
সোনাল ঝা লিখেছেন,’ওকে নিয়ে এতটা নীচ ভাবনা কখনো ভাবিনি, এই ভ্রমও ভাঙলেন, এই মানুষটা ১৮ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী, মনুজের ওপর যখন সর্বনাশ নেমে আসে, বিবেক আগে মরে যায় । যেখানে কুমতি সেখানে বিপতির নিদান। বিহারে বিপতির কারণেই হল এই কুমতি, লিঙ্গ ন্যায়বিচার ও নারীর সম্মান ।’
পাশাপাশি সাম্প্রতিক জাত সমীক্ষার ভিত্তিতে রাজ্য সরকারী চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (ওবিসি), তফসিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতিদের(এসটি) জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর প্রস্তাবও করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার । মুখ্যমন্ত্রী জানান যে বর্তমান বিহারের বিধানসভা অধিবেশনে সংরক্ষণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি বিল পেশ করা হবে। তিনি এসসি/এসটির জন্য ১৭ থেকে ২২ শতাংশ এবং ওবিসি এবং সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণীর (ইবিসি) জন্য ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন । প্রসঙ্গত,বিহার সরকার দ্বারা গত ২ অক্টোবর জাত-ভিত্তিক সমীক্ষা অনুসারে, ওবিসি এবং ইবিসি মিলে বিহারের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি ।।