এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৮ অক্টোবর : চাষের কাছে মাঠে গিয়ে নালায় মাছ ধরার জন্য পেতে রাখা জালে আটকে যাওয়া একটা গুই সাপ বা গোসাপ নজরে পড়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোঁয়ারের । ভয়ভীতি না করে তিনি সাপটিকে মুক্ত করে নিরাপদ জায়গায় ছেড়ে দিয়ে আসেন । আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি ছোট ঘটনা হলেও একটা বন্যপ্রাণীটির প্রাণ রক্ষায় শান্তনুর আকুলতার প্রশংসা করেছেন এলাকার পরিবেশ প্রেমীরা । ভাতারের মুরাতিপুরের বাসিন্দা পশুপাখি প্রেমী শেখ আমির বলেন,’এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ । গোসাপ নির্বিষ । কিন্তু বিষধর সাপের মত গর্জনের কারনে গোসাপের প্রতি অনেকের ভীতি আছে । আর এই ভয় থেকেই অনেকে ওই নিরীহ প্রজাতির সাপ মেরে ফেলে । তাতে পরিবেশেরও ক্ষতি হয়৷ কারন গোসাপ পরিবেশবান্ধব বন্যপ্রাণী ৷ বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে । একটা গোসাপের প্রাণ বাঁচিয়ে পরোক্ষভাবে কৃষকদেরই উপকার করেছেন শান্তুনুবাবু ।’
ভাতার থানার হাটকানপুর গ্রামের বাসিন্দাশান্তনু কোঁয়ার যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদেও রয়েছেন । পৈতৃক কিছু জমিজমা রয়েছে তাদের । পিতার মৃত্যুর পর চাষবাসের কাজ তাকেই দেখাশোনা করতে হয় । আজ সোমবার সকালে মাঠে যাওয়ার সময় রাস্তার ধরে সেচ নালায় তার নজর পড়তে নালায় পেতে রাখা জালে একটা গোসাপ আটকে থাকতে দেখেন শান্তনু । দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে তিনি সাপটিকে জালমুক্ত করে নিরাপদ স্থানে গিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসেন । বিষয়টি স্থানীয় কিছু কৃষকদের নজরে পড়লে তার ছবি তুলে রাখেন।
শান্তনু কোঁয়ার বলেন,’গোসাপ সচারাচর কামড়ায় না । একে সাপ বলা হলেও আদপে এটি টিকটিকি গোত্রীয় প্রাণী এবং বিষও নেই । কিছু মানুষের ধারণা আছে গোসাপ কামড়ালে বিষ হয়। এটা সত্য নয় । উপরন্তু ক্ষতিকারক কীট পতঙ্গ খেয়ে পরিবেশের উপকার করে এরা ।’।