এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২০ নভেম্বর : প্রাচীন সোনার কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার কাটাটিকুরি গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ভাতার থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আলিম শেখ ওরফে রাজু মিস্ত্রী । ব্যারাকপুরের বাসিন্দা দুলালচন্দ্র দে নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আজ বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ৷ এই চক্রে আর কারা যুক্ত আছে জানার জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
জানা গেছে,গত অক্টোবর মাসে আলিম শেখ দ্বারা প্রতারণার শিকার হন দুলালচন্দ্র দে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমদামে পুরানো আমলের সোনার কয়েন বিক্রির প্রচার করে ফাঁদ পেতেছিল আলিম । দুলালচন্দ্রের নজরে পড়লে তিনি কয়েন কিনতে আগ্রহী হন। যেকারণে তিনি আলিম শেখকে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন । পুলিশের কাছে অভিযোগে দুলালচন্দ্র দে জানান,তাকে ফোনে ডাকা হয়। প্রথমে একটি সোনার কয়েন দেখায়। সেটি দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যাওয়ার পর দুলালবাবু পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে সেটি আসল সোনা । এতে আলিমের উপর তার বিশ্বাস জন্মে যায় । তিনি আরও কয়েন কিনতে আগ্রহী হলে আলিম তাঁকে জানায় যে এরকম অন্তত ৩০০ টি কয়েন আছে তার কাছে । তবে দাম লাগবে মোট ১৫ লক্ষ টাকা । এরপর একদিন তাকে ওড়গ্রামের জঙ্গলের কাছে ডেকে পাঠানো হয় । কথামতো তিনি ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই ৩০০টি কয়েন গুনে নিয়ে চলে যান । কিন্তু বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন যে সেগুলি নকল এবং তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন । এরপর তিনি ১৮ অক্টোবর ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে আলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
জানা গেছে,এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তিকেও একই কায়দায় প্রতারণা করেছিল আউশগ্রাম থানার কাটাটিকুরি গ্রামের বাসিন্দা আলিম শেখ ওরফে রাজু মিস্ত্রী । তখন অভিযোগের ভিত্তিতে আউশগ্রাম থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে জেলে পাঠানো হয় । সম্প্রতি সে জামিনে মুক্তি পায় । কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে এসে ফের সে একই কায়দায় প্রতারণা শুরু করে দেয় ।।
This Article written by Dibyendu Roy .

