সেখ মিলন,ভাতাড়(পূর্ব বর্ধমান),১১ নভেম্বর : আবারও বড়সড়ো সাফল্য পেল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ । কালীপুজোর মরশুমে জেলায় বিভিন্ন মন্দিরে চুরি যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। জানা গেছে, কালীপুজোর মরশুমে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গুসকরা ফাঁড়ির অধীন দেয়াশা ও ব্রজোপুর এলাকায় দুটি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে । মাকালীর অঙ্গ থেকে চুরি যায় বেশ কিছু সোনা ও রুপোর গহনা। কালীপুজোর দুদিন পরে ভাতারের আমারুন এলাকায় তিনটি মন্দিরের চুরির ঘটনা ঘটে। সেখানেও বেশ কিছু মায়ের অলংকার চুরি যায় বলে অভিযোগ। গলসি থানার খানো এলাকায় একটি মন্দিরের চুরির ঘটনা ঘটে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে পুলিশ । পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি। আউশগ্রামের ভেদিয়ায় রবিবার রাত্রে একটি সেতু এলাকা থেকে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজন চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে এরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম উদয় বেদ, পবন বেদ ও সুলতান বেদ। ধৃতদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে । ধৃতরা যাযাবর দলের সদস্য । আজ সোমবার ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জি বলেন, ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া এলাকায় বাকি দুজনের বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকায়। ধৃতরা মূলত গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বাদুড় বা চামচিকি ধরা এবং মধু সংগ্রহের কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন বাড়ি কিংবা মন্দির প্রাঙ্গণে খাবার সংগ্রহ করার অছিলায় বিভিন্ন মন্দিরকে নিশানা বানাতো। গভীর রাত্রে তারা মন্দিরের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটাতো। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু অলংকার উদ্ধার হয়েছে । যে অলংকারগুলি উদ্ধার হয়েছে তাতে এফআইআর কপিতে যা বর্ণনা রয়েছে সেটার সঙ্গে মিল রয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে বাকি অলংকার উদ্ধার করার প্রচেষ্টা চালানো যাবে।’ পাশাপাশি এই দলের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানান ।।