এইদিন ওয়েবডেস্ক, ভাতার(পূর্ব বর্ধমান), ১৫ নভেম্বর : করোনা আবহে দীর্ঘকাল ধরে স্কুল বন্ধ । বাড়িতে বসেই কাটছে পড়ুয়াদের । সহপাঠীদের সঙ্গে হৈহুল্লোড়, খেলাধুলা করার সুযোগও নেই। চার দেওয়ালের মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে কাটাতে হচ্ছে মাসের পর মাস। ঘরবন্দি হয়ে পড়া শিশুদের অস্বস্তিকর জীবনের নিদারুন অভিজ্ঞতাটা কেমন? তার খোঁজ নিতে অভিনব ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডলের । ‘শিশুদিবস’ উপলক্ষ্যে রবিবার এলাকার কচিকাঁচা পড়ুয়াদের নিয়ে অনলাইনে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ভাতার থানার পুলিশ। আর সোমবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন ওসি সহ ভাতার থানার পুলিশকর্মীরা। বাড়িতে বসেই উপহার পেয়ে আপ্লুত কচিকাঁচার দল। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পাশাপাশি আরও ৭ জনকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে এদিন।
রবিবার শিশুদিবসের দিন অনলাইনে যে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তার বিষয়বস্তু হল, ” করোনাকালে স্কুল বন্ধ। বাড়িতেই সময় অতিবাহিত করে কেমন আছো তোমরা?” বিষয়বস্তু থেকেই স্পষ্ট প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে নিছক প্রতিযোগিতাই নয়, করোনাকালে ঘরবন্দি শিশুমনের সুলুকসন্ধান করা।
শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ভাতার এলাকার বিভিন্ন ফেসবুক ও হোয়াটসআ্যপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রচার হয় এই ধরনের অভিনব প্রতিযোগিতার কথা। জানা যায় ভাতার থানা ও পূর্ব বর্ধমান জেলাপুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতার কথা প্রচার করা হয়। ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডল বলেন,” শিশুদিবসের দিনটা বিশেষভাবে পালনের ইচ্ছা ছিল আমাদের। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে শিশুদের সাথে ভিড়ভাট্টা করে কোনও অনুষ্ঠান করার ভাবনা রাখা যাচ্ছে না। তাই অনলাইনের মাধ্যমেই কিছু একটা করার ভাবনা নেওয়া হয়। আশা রাখছি এই পরিস্থিতিতে আমরা বাচ্চাদের কিছু সুবিধা অসুবিধা বা মানসিক যন্ত্রণার কথা শেয়ার করতে পারবো। তাদের মানসিকভাবে উৎসাহিত করতেও পারবো।”
পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার অনলাইনে যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় তাতে শুধুমাত্র ভাতার থানা এলাকার বাসিন্দা পড়ুয়াদের জন্যই করা হয়েছিল। ৬ – ১২ বছর বয়সের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। দুপুর বারোটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে প্রবন্ধ পাঠানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় । ভাতার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে মোট ১৩৫ জন প্রতিযোগী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের লেখা প্রবন্ধ পাঠায়। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে স্বর্ণচালিদা গ্রামের বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শুভজিৎ। মুর্মু। দ্বিতীয় স্থানে খেড়ুর গ্রামের আত্মজা ঘোষ এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীর নাম ভাতার বাজারের বাসিন্দা সৃজিতা কুন্ডু। ৭ জনকে দেওয়া হয় সান্ত্বনা পুরস্কার। প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে ।।