শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৩ ডিসেম্বর : দোকানে কেনাকাটার সময় দুষ্টুমি করার বকাঝকা করেছিলেন মা-বাবা ৷ সেই অভিমানে মা-বাবার নজর এড়িয়ে দোকান থেকে পালিয়ে যায় ৬ বছরের শিশু । তারপর হন্যে হয়েও খুঁজেও ছেলের সন্ধান পায়নি দম্পতি৷ শেষ পর্যন্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় উদ্ধার হয় শিশুটি । পরে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ শিশুটি ওই দম্পতির হাতে তুলে দেয় ৷
জানা যায়, ভাতারের কুরুম্বা এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধদেব ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী আজ শুক্রবার ৬ বছরের পুত্রসন্তানকে ভাতাড় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছিলেন। চিকিৎসার শেষে তারা ভাতাড় বাজারে পোশাকের দোকানে কিছু কেনাকাটা করতে আসেন ৷ সেই সময় শিশুটি দুষ্টুমি করায় বাবা-মা বকাঝকা করেন । এরপর শিশুটি অভিমান করে মা বাবার নজর এড়িয়ে দোকান থেকে পালিয়ে এসে ভাতার বাজার নাসিগ্ৰাম মোড়ে চলে আসে । এদিকে ছেলের সন্ধান পেতে গোটা বাজার হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন মা বাবা। জানা গেছে,সেই সময় ভাতার বাজার নাসিগ্ৰাম মোড়ে ডিউটি করছিলেন ভাতাড় থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সেখ সাহাদত ও সেখ ফিরোজ। শিশুটিকে তারা একাকি ঘোরাঘুরি করতে দেখে কাছে গিয়ে তাঁর নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করেন । ছেলেটি নাম বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে পারেনি । এরপর ছেলেটিকে উদ্ধার ভাতার থানায় নিয়ে আসেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ।
জানা গেছে,ভাতার থানার ওসি বুদ্ধদেব ঢুলি শিশুটির হাতে চকলেট তুলে দিয়ে তার সঙ্গে ভাব জমাম এবং তার কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করেন। শেষে তিনি ছেলের বাবার নাম ও স্কুলের নাম জানতে সক্ষম হন । এদিকে ছেলের সন্ধান না পেয়ে ভাতার থানায় হাজির হন তার মা-বাবা । উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখে মা বাবার হাতে তাদের সন্তানকে তুলে দেয় পুলিশ৷ সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভাতার থানার পুলিশের তৎপরতায় ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি মা বাবা। তারা ভাতাড় থানার পুলিশ বিশেষ করে ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।।