জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,পোর্টব্লেয়ার,১৭ এপ্রিল :বর্তমানে একদল বাঙালি যখন বাংলায় বসে বাঙালির ঐতিহ্য ভুলে যেতে বসেছে অথবা পরস্পরের সঙ্গে কথাবার্তার সময় দুই বাঙালি মাতৃভাষার পরিবর্তে ইংরেজি অথবা অন্য বিদেশি ভাষায় কথা বলতে বেশি পছন্দ করছে তখন ওদিকে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দূরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী শহর পোর্টব্লেয়ারের একদল বাঙালি এই প্রথমবারের জন্য পালন করলেন বাংলার নববর্ষ। সৌজন্যে কর্মসূত্রে পোর্টব্লেয়ারের থাকা অদৃশ্য নাথ।
পোর্টব্লেয়ারের ‘আদিত্য নাট্য আকাদেমির’ উদ্যোগে এবং আনন্দধারা সঙ্গীত আকাদেমি, কাবেরী মিউজিক্যাল ইনষ্টিটিউট, আন্দামান সঙ্গীত অ্যাকাডেমি ও সুজাতা ডান্স অ্যাকাডেমি সহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় শতাধিক বঙ্গবাসী মানুষের বর্ণাঢ্য সান্ধ্য পদযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। পদযাত্রা শুরু হয় পোর্টব্লেয়ারের গোলঘর থেকে এবং শেষ হয় মেরিনা পার্কে। পরে সেখানে একটি ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন আদিত্য নাট্য অ্যাকাডেমির সম্পাদক অনাদি ভট্টাচার্য, নন্দলাল দেবশর্মা, পোর্টব্লেয়ারের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক অনাদি রঞ্জন বিশ্বাস, শম্পা সরকার, কাবেরী দেবশর্মা, সুজাতা চক্রবর্তী, নমিতা হোমচৌধুরী সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে আদিত্য নাট্য অ্যাকাডেমির সম্পাদক অনাদি ভট্টাচার্য বলেন,’হঠাৎ আয়োজিত এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হাতে সময় কম থাকার জন্য এখানকার সমস্ত বাঙালি সংগঠনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি। তবে আগামী বছর পোর্টব্লেয়ারে আরও সুন্দরভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার জন্য আমরা এখন থেকেই সচেষ্ট হব।’
অন্যদিকে যার প্রেরণায় এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয় সেই অদৃশ্য নাথবাবু বললেন,’আমি কর্মসূত্রে এখানে এসেছি। আমার মত আরও অনেক বাঙালি কর্মসূত্রে বা স্থায়ীভাবে এখানে আছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি বলে হয়তো কিছু ঘাটতি থেকে গেছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী বছর আরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে বর্ষবরণ দিনটি পালন করা। আশাকরি সবার মিলিত প্রয়াসে আমরা সফল হব।’।