দিনের শেষে সূর্য বিদায়ে ধীরে ধীরে ছেয়ে যায় অন্ধকারের মায়াজাল
শুনতে পাই দূর থেকে ভেসে আসে মৃদু কোনো চেনা সুর
রাস্তার মোড়ে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দাঁড়িয়ে আজও অপেক্ষায়
হাতে মুঠোফোন আর সে সুর তোমারই অনুগ্রহে চুপিচুপি আনাগোনা করছে।
ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম জ্যোছনার আকাশ
কত মায়াবী চাঁদ আজ
একটু পরেই পরিচিত সুর রবিঠাকুরের ‘সেই ভেঙে মোর ঘরের চাবি’
একে একে আরো অনেক যা আকৃষ্ট করছিলো তোমার পানে ছুটে যাবার
না জানি আজ হঠাৎ কী হলো মনের অন্তঃপুরে এলোমেলো ঢেউ।
ভালোবাসার এ কেমন পরীক্ষায় বাধ্য করো বারবার
অবশেষে ছুটে গিয়ে বুকে আছড়ে পরি যেনো কতদিন দেখা হয়নি ভালো করে,
চুম্বনে লিপ্ত হওয়া ঠোঁট দুটো কাঁপছিল যেন অচেনা আদরে,
আর একটিবার এ আকুতি আর্তচিৎকারে কেঁদেছে হৃদয় জুড়ে।
নিঝুম রাতে দু’জন পাশাপাশি হাত খানি শক্ত করে হৃদয়ে চেপে,
বহুদিন বাদে আজ যেন প্রেমের সাগরে স্নান সেরে উঠলাম,
তুমি আর আমি একসাথে পাঠ করি রবিঠাকুরের কবিতার কটা লাইন
হয়নি দেখা অভিমানে দূরে সরে আজ সব একাকার।
সাক্ষী এ রাত আর চাঁদের এ জ্যোছনা নাই বা থাক রামধনু,
বহুবার আজ করেছো তো আলিঙ্গন তোমার সবটুকু প্রেমসুধা দিয়ে,
এতো দিনের না বলা যতো কথা সব সবই আজ আলোয় আলোকিত ;
তোমার পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আজ শুধু কবিতার খোলা আকাশের নীচে।
রইলো না জানি আর আড়াল কিছু তোমার আমার মাঝখানে
আমাদের প্রেমের জয়গাঁথা রয়ে যাবে চিরকাল সবার অগোচরে ;
তাতে কী আসে যায় ভালোবাসা চিরকালই বেঁচে থাকার মন্ত্র জানে
তুমি আমি আর এই নিঝুম রাত দু’জনার কেটে যাবে কতো ফাগুন বসন্ত ।।