এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১০ সেপ্টেম্বর : বছরের চতুর্থ ও শেষ গ্র্যান্ড স্লাম টেনিস টুর্নামেন্টের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। এবারের আসরটা স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ ছিল তাদের। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাগতিকদের। ইউএস ওপেনে পরপর দুটি ফাইনাল হারতে হলো তাদের। শনিবার বেলারুশ সুন্দরী আরিয়ানা সাবালেঙ্কার কাছে হেরেছেন জেসিকা পেগুলা। পরদিন টেলর ফ্রিটস হারলেন ইয়ানিক সিনারের বিপক্ষে।
তাতেই হলো ইতিহাস। টুর্নামেন্ট পেল নতুন রাজা-রানীকে। একই গ্র্যান্ড স্লামে স্বাগতিক দেশের দুই খেলোয়াড়ের দুই এককের ফাইনালে হারের ঘটনা বিরল । দুই ফাইনালেই মার্কিন খেলোয়াড়রা হেরেছেন সরাসরি সেটে । নারী এককে সাবালেঙ্কার কাছে জেসিকার হার ৭-৫, ৭৫ গেমে। রবিবার রাতে সিনারের বিপক্ষে ফ্রিটস হেরেছেন ৬-৩, ৬-৪, ৭-৫ গেমে।
অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ডোপিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল সিনারের বিরুদ্ধে। নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তার ফেরাটা দারুণ ছিল। বছরের শুরুর মতোই শেষটা দুর্দান্ত হলো তার। গত জানুয়ারিতে সিনার স্বাদ পান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের। এবার জিতলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট। তাতেই হলো ইতিহাস। ইতালির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতলেন ২৩ বছর বয়সী সিনার।
অন্যদিকে ক্যারিয়ারে প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো ২৬ বছর বয়সী ফ্রিটসের। ছেলেদের এককে যুক্তরাষ্ট্রের ২১ বছরের অপেক্ষার অবসান করার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু পরিচিত দর্শকদের সামনে ফাইনালে দাঁড়াতেই পারলেন না ফ্রিটস। অথচ আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের গ্যালারি সিংহভাগ সমর্থন ছিল তারই। স্বাগতিক দর্শকদের চাপ ঠাণ্ডা মাথায় সামাল দেন সিনার।
ইতালিয়ন তরুণ থামিয়ে দেন মার্কিন দর্শকদের কোলাহল। জেতেন ট্রফি। ইতালির হয়ে ইতিহাস গড়ার পর সিনার বলেছেন, ‘আমার ক্যারিয়ারটা সহজ ছিল না। এই শিরোপাটা আমার খুব দরকার ছিল।’ হারের পর ফ্রিটস বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্য দিনটি আমার ছিল না। ফাইনালে সিনার আমার চেয়ে ভালো ছিলেন। যোগ্য হিসেবেই তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’।