এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২২ অক্টোবর : বিজেপি সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই ধুন্ধুমার কান্ড বেধে গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় । বিজেপির জেলা ও মন্ডল সভাপতিকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল বেশ কিছু দলীয় কর্মী । তাঁরা দুই নেতাকে ধাক্কাধাক্কির পাশাপাশি চেয়ার টেবিল ভাঙচুরও করে ক্ষিপ্ত বিজেপি কর্মীরা । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । শেষে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের একাংশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে । ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এটা তৃণমূলের চক্রান্ত । যারা এদিন ভাঙচুর চালিয়েছে তারা কেউ বিজেপির হতে পারে না । যদি এই ঘটনায় কোনও বিজেপি কর্মী জড়িত হন তাহলে আমরা ব্যাবস্থা নেবো ।’
জানা গেছে,শুক্রবার দুপুর ৩ টে নাগাদ কাটোয়া থানার দাঁইহাটের পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের কাছে জেলা কার্যালয় অফিসে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল বিজেপির । পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলা নেতৃত্বের তরফ থেকে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় । বৈঠকে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের আসার বিষয়ে আগে থেকে দলীয় তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল । বৈঠক শেষে নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতিকে সম্বর্ধনা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবর ।
জানা গেছে,সকাল থেকেই প্রচুর বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের দাঁইহাটের পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের কাছে বৈঠক স্থলের কাছে আসতে দেখা যায় । সকাল তখন প্রায় সাড়ে এগারোটার আশপাশ । তখনও দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার কেউই এসে পৌঁছননি । আচমকা বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ ও দাঁইহাট নগর মণ্ডল সভাপতি অনুপ বসুকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় দলের একাংশের লোকজন । শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি,ভাঙচুর ।
বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ তোলেন,এই দুই নেতা ভোটের পর সাধারন কর্মীদের কোনও খোঁজখবর রাখেননি । এমনকি বিগত বিধানসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের পিছনে এই দুই নেতাকে দায়ি করে তাঁদের পদত্যাগের দাবি জানান বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালে অনান্য বিজেপি কর্মী ও পুলিশ আসরে নামে । শেষে তাঁদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে ।
তারপর বেলা প্রায় ১ টা নাগাদ দাঁইহাটে দলীয় কার্যালয়ে এসে পৌঁছোন দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার । প্রথমেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন । প্রশ্নউত্তর পর্ব সম্পন্ন হলে দিলীপ ঘোষ মাইকে ঘোষণা করেন, ‘এদিনের বৈঠকে যাদের ডাকা হয়েছিল তাঁরাই শুধু থাকবেন । বাকিরা বাইরে বেড়িয়ে যান । পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাইরে না গেলে পুলিশ ডাকা হবে । পুলিশ লাঠিচার্জ করে বের করে দেবে ।’ এরপর বিক্ষোভকারীরা বাইরে বেড়িয়ে আসেন । দুই শীর্ষ নেতার কাছে নিজেদের দাবি জানানোর জন্য দলীয় কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন ।।