এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,১৯ এপ্রিল : মুর্শিদাবাদে ইসলামী মৌলবাদীদের দ্বারা ছড়িয়ে পড়া হিংসার ক্ষেত্রে একটি নতুন তথ্য সামনে এসেছে। হিংসা ছড়ানো মুসলিম মৌলবাদীরা আগে থেকেই হামলার পরিকল্পনা করে রেখেছিল এবং বেছে বেছে কালো কালি দিয়ে হিন্দুদের বাড়ি চিহ্নিত করে রেখে গিয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় সেই চিত্র উঠে এসেছে ন। এনএমএফ নিউজের একটি গ্রাউন্ড রিপোর্টে এটি প্রকাশিত হয়েছে। মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসায় লক্ষ্যবস্তু হওয়া হিন্দুদের বাড়ির সামনে থেকে এনএমএফের সাংবাদিক পঙ্কজ প্রসূন রিপোর্ট করেছেন যেখানে সাংবাদিককে বলতে শোনা যায় যে হিন্দুদের বাড়িতে কালো কালি লাগানো হয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, হিংসা চালানো ইসলামিক মৌলবাদীরা জানত কোন হিন্দু বাড়িতে বোমা হামলা চালাতে হবে এবং কোথায় আগুন ধরিয়ে দিতে হবে।
সাংবাদিক পঙ্কজ প্রসূন হিংসার শিকার স্থানীয় মানুষদের সাথেও কথা বলেছেন। কথোপকথনের সময় জানা যায় যে মুসলিম জনতা রাস্তায় প্রবেশ করে, কালো কালি দেখে হিন্দু বাড়িগুলিকে চিহ্নিত করে, অগ্নিসংযোগ করে এবং লুটপাট করে।
গত ১১ এপ্রিল, মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের নামে মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায় । মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেখা গেছে। মুর্শিদাবাদের সুতি ও সামসেরগঞ্জ এলাকায় শুক্রবারের নামাজের পর থেকে দাঙ্গা শুরু হয়।
ওইদিন একজন হিন্দু বাবা (গোবিন্দ দাস) এবং তার ছেলেকেও (চন্দন দাসের) ইসলামী মৌলবাদীরা নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও, মুসলমানরা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ভেঙে ফেলে এবং জিনিসপত্র লুট করে। ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামিক মৌলবাদীরা দাঙ্গায় আটকে পড়া একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে নির্মমভাবে মারধর করে। হিংসার শিকার একজন হিন্দু বলেছেন যে আক্রমণকারীরা বাইরে থেকে আসেনি, তারা স্থানীয় মুসলিম ছিল।
মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার আরেক হিন্দু ব্যক্তি এএনআইকে বলেন,’তারা (ইসলামিক মৌলবাদীরা) যানবাহন ধ্বংস করেছে, আমাদের জিনিসপত্র লুট করেছে এবং দোকানপাটে আগুন দিয়েছে।’ ভুক্তভোগী আরও বলেন,’আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। আমরা জেগে ছিলাম এবং ভীত ছিলাম। এখানে যখন দাঙ্গা চলছিল তখন কোনও পুলিশ বাহিনী ছিল না।’
মুর্শিদাবাদ হিংসার শিকার হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত আজ তক-এর একজন প্রতিবেদককে বলেন,’জনতা সামনের গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছিল, কিন্তু দরজা ভাঙতে পারেনি। এর পরে, মুসলিম মৌলবাদীরা পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে।’ ভুক্তভোগী আরও বলেন যে এই লোকেরা বাইক ভেঙে ফেলেছে, বাড়িতে থাকা টেবিল, চেয়ার, গদি, সোফা ইত্যাদি ধ্বংস করেছে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে।’ভুক্তভোগীরা আরও দাবি করেছেন যে শমশেরগঞ্জ থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে হিংসা সংঘটিত হলেও পুলিশ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। হিংসার সময় পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যে হাজার হাজার হিন্দু সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে নৌকায় করে নদী পার হয়েছিল এবং মালদায় পালানপুরের স্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।।
*হিন্দি মিডিয়া আউটলেট ওপি ইন্ডিয়ায় প্রতিবেদন ।