এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২১ আগস্ট : কাকিমাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিত ভাইপো । তাতে সাড়া না পেয়ে সে বেশ কয়েকবার কাকিমার শ্লীলতাহানি করাও চেষ্টা করেছিল । কিন্তু প্রতিবারই বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল । সেই আক্রোশে কাকাকে ঘুমন্ত অবস্থায়
ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল গুনধর ভাইপোর বিরুদ্ধে । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার মানিকচক থানার গোপালপুর অঞ্চলের ঈশ্বরটোলা গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম মানিক মন্ডল(৪৮) । শনিবার এনিয়ে মৃতের ভাইপো অভিযুক্ত যুবক প্রশান্ত মন্ডল ও তার বাবা দেবেন মন্ডলের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । পুলিশ দেবেন মন্ডলকে আটক করেছে । পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত পলাতক । তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে,ঈশ্বরটোলা গ্রামের বাসিন্দা মানিক মন্ডল জনমজুরির কাজ করতেন । তাঁর বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও ৬-৭ বছরের মেয়ে মামনি । পাশাপাশি বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করেন মানিকবাবুর দাদা দেবেন মন্ডল । দেবেনবাবুর ছেলে প্রশান্ত বাড়িতেই থাকে । প্রশান্ত প্রায়ই তার কাকিমাকে কুপ্রস্তাব দিত । তাতে সাড়া না পেয়ে সে কয়েকবার কাকিমার শ্লীলতাহানী করারও চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ । এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হত । শেষ পর্যন্ত আক্রোশ বশত প্রশান্ত তার কাকাকে খুন করার পরিকল্পনা করে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের ।
জানা গেছে,শুক্রবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমচ্ছিলেন মানিক মন্ডল । পাশে ছিল তাঁর শিশুকন্যা মামনি । মামনি বলে, ‘অনেক রাতে বাবার চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙে যায় । তখন দেখি বাবার বুকে একটা ধারাল চাকু ঢুকিয়ে দিয়েছে আমার দাদা প্রশান্ত । বাবার পেট থেকে প্রচুর রক্ত বেরুচ্ছিল । আমি তখন চিৎকার করে মা’কে ডাকাডাকি করি । এদিকে আমার ও আমার বাবার চিৎকারে মা ও অনান্যরা ছুটে আসে । তবে তার আগেই দাদা পালিয়ে যায় ।’
জানা গেছে,পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা মানিক মন্ডলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মানিকচক হাসপাতালে নিয়ে আসেন । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এদিন দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ । মৃতের স্ত্রী এনিয়ে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । দোষী যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতের স্ত্রী কন্যাসহ প্রতিবেশীরা ।।