এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতাড়,০৪ জানুয়ারী ঃ ভাতাড়ের বিডিওর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দিন তিনেক আগে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর । এই ঘটনার পর খোদ বিডিওর অপসারন চেয়ে সোমবার আন্দোলনে নামলেন বিডিও অফিসের কর্মীরা । এদিন প্রায় জনা পঞ্চাশেক কর্মী বুকে কালো ব্যাচ পড়ে বিডিওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান । সেই সঙ্গে বিডিওর অপসারণ চেয়ে ও ওই কর্মীকে কাজে ফেরানোর দাবিতে তাঁরা ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে । এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় ও প্রশাসনিক মহলে ।
শুক্রবার শুক্রবার ভাতাড়ের বিডিওর কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় । ইস্তফাপত্রে বিডিওর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি । ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, “আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে এসেছি । শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনেও অফিসে কাজ করেছি । বাড়িতে বসেও অফিসের কাজ করেছি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও । বর্তমানে বিডিও সাহেবের মানসিক অত্যাচারে এই ইস্তফাপত্র লিখতে বাধ্য হচ্ছি।” পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, “অনেক রাতে বাড়ি ফেরার পরেও ফোন করে বা হোয়াটসআ্যাপে আমার এক্তিয়ারভুক্ত কাজ করতে বিভিন্ন সময়ে আলাদা আলাদা নির্দেশ দিয়ে চলেন বিডিও সাহেব । যার মধ্যে সামঞ্জস্য নেই । সবই মোখিক । বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা, শ্বাশুড়ি, মেয়ে বর্তমান । এই মানসিক যন্ত্রণা নিতে পারছি না।”
এদিকে গত শনিবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র গ্রহন করার জন্য সুপারিশ করেন ভাতাড়ের বিডিও তপন সরকার । বিডিওর অভিযোগ, ইস্তফাপত্র পাওয়ার পর তিনি সন্দীপবাবুকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য অফিসে আসতে অনুরোধ করেছিলেন । কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন শনিবার ও রবিবার ছুটির দিন । তাই তার পক্ষে আসা সম্ভব নয় । পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অফিসে অনিয়মিত আসেন ও তাঁর জন্য সরাসরি কাজে বিঘ্ন ঘটছে । এছাড়া সন্দীপবাবুর কারনে অফিসের স্বাভাবিক পরিবেশও বিঘ্নিত হতে পারে বলে চিঠিতে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন বিডিও
তপন সরকার ।
দেখুন ভিডিও :
এই ঘটনার পর এদিন বিডিও অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান ভাতাড়ের বিডিও অফিসের অফিসকর্মীরা । তাঁদের অভিযোগ, শুধু সন্দীপবাবুই নয় , তাঁদের প্রত্যেকের উপর মানসিক নির্যাতন চালান বর্তমান বিডিও । এমনকি বিডিও তাঁদের চাকরি খেয়ে নেওয়ারও হুমকি দেখান বলে অভিযোগ তুলেছেন ভাতাড়ের বিডিও অফিসের কর্মী আসফাকউল্লা পিয়াদা,প্রদ্যোৎ চন্দ্ররা । তাঁরা জানিয়েছেন, ভাতারের বিডিওকে অপসারণের পাশাপাশি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাজে ফেরানোর দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে ।
অন্যদিকে ভাতাড়ের বিডিও তপন সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক । আমি কারও সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করি না । সরকারি দায়িত্ব পালন করি ।’