এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেরেলি(ইউপি),১১ ডিসেম্বর : উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলার একটি আদালত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) একজন অভিযুক্ত কথিত নপুংসক ফারিন আহমেদকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। যার বিরুদ্ধে একটি ৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে । আদালত ফারিনকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১২,০০০ টাকা জরিমানাও করেছে । চতুর ফারিন আহমেদ নপুংসক পরিচয় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিল । ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ফারিন ৭ বছরের ওই কিশোরীকে শসা নেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
খবরে বলা হয়েছে, বারেলির পকসো বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি হয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা শুনানিতে ফারিন নিজেকে নপুংসক দাবি করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে । বিচারক উমা শঙ্করের নির্দেশে অভিযুক্তের লিঙ্গ পরীক্ষা করা হলে সে একজন পুরুষ বলে প্রমাণিত হয়। ফারিন দীর্ঘদিন ধরে নপুংসক পরিচয় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছিল বলেও জানা গেছে। শাস্তি ঘোষণার পর আদালতে কান্নাকাটি শুরু করে ফারিন। নপুংসক সাজা ফারিন কম শাস্তির জন্য আদালতে আপিল করতে থাকে। তবে প্রসিকিউশন ফারিনের অপরাধকে গুরুতর আখ্যায়িত করে আদালতের কাছে কঠোর শাস্তি চেয়েছে। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক ফারিনকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পুলিশ আদালত থেকে ফারিনকে হেফাজতে নিয়ে কারাগারে পাঠায়।
জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটেছে বেরেলি জেলার মীরগঞ্জ থানা এলাকায়। এখানে ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল, একটি ৭ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ের মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগে, মহিলা বলেছিলেন যে তার মেয়ে ২৯ মার্চ টিভি দেখছিল । সেই সময় ইসলামিয়া স্কুলের পাশে বসবাসকারী জামিল আহমেদের ছেলে ফারিন কিন্নর সেখানে পৌঁছায়। সে তার মেয়েকে শসা খাওয়ানোর প্রলোভন দিয়ে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফারিন তার মেয়েকে ধর্ষণ করে । এ কথা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় । ধর্ষণের জেরে রক্তক্ষরণ শুরু হয় তার মেয়ের । মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে । পরে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ ফারিনের বিরুদ্ধে আইপিসি (ভারতীয় দণ্ডবিধি) এবং পকসো আইনের ৩৭৬-এ ৩৭৬-বি এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে তার সাজা ঘোষণা হল ।।