প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ আগস্ট : মাদক দ্রব্য গাঁজা উদ্ধার হয়েই চলেছে।আঠাস দিনের মধ্যে তিন তিনটি পৃথক জায়গায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে মোট ২১০কেজি গাঁজা।প্রতিবারই উদ্ধার হওয়া গাঁজার সঙ্গে জড়িয়েছে ’উড়িষ্যার“ নাম। এই বিষয়টি পুলিশ মহলকেও গভীর ভাবিয়ে তুলেছে । উড়িষ্যায় বসে কোন গাঁজা কারবারীরা বাংলায় গাঁজা কারবারের বিস্তার বাড়াতে চাইছে,এমনটা ধরে নিয়ে শুরু হয়েছে কিংপিনের খোঁজ।
বর্ধমান থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওত পেতে বসে থাকে বর্ধমান আরামবাগ রোডে সদরঘাটের কৃষকসেতুর কাছে । সেতুর আশেপাশে গাঁজা ভর্তি ব্যাগগুলি হাতবদল হবে এমন খবরই আগাম পৌছেছিল পুলিশের কাছে ।আর সেটা করতে গিয়েই বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় গাঁজা পাচার কারীরা ।জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন,দু’জন গাঁজা পাচারকারী ধরা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে যে চারটি ব্যাগ ও সুটকেস পাওয়া যায় তার থেকে মোট ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।উড়িষ্যা থেকে গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল।এই ঘটনায় ধীরেন্দ্র সাউ ও বাপী সাউ নামে দুই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে।ধৃতদের মধ্যে ধীরেন্দ্র সাউয়ের বাড়ি বীরভূমের বোলপুরে।আর বাপ সাউয়ের বাড়ি বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায় । সুনির্দিষ্ট ধরার মামলা রুজু করে ধৃত দু’জনকেই শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
পুলিশের অভিযানে বৃহস্পতিবার প্রথম বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হল এমনটা কিন্তু নয় । ইতিপূর্বে চলতি মাসেরই ১১ এবং ১২ আগষ্ট পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ গাঁজা পাচারকারীরা ধরা পড়ে।১১ আগষ্ট জেলার মেমারি থানার পালসিট টোলপ্লাজা থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি ৫০ কেজি গাঁজা।গ্রেপ্তার হয় এক মহিলা সহ চারজন । এর ঠিক পরদিনই অর্থাৎ ১২ আগষ্ট নীল বাতি লাগানো গাড়িতে করে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই গাঁজা পাচারকারী । নীলবাতি লাগানো গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১০০ কেজি গাঁজা। যার আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষ টাকা ।এক্ষেত্রেও ওঠে অসে উড়িষ্যা যোগ। উড়িষ্যা থেকে গাঁজা আনার কথা ধৃতরা পুলিশের কাছে কবুল করে ।উদ্ধার হওয়া গাঁজা সহ নীলবাতি লাগানো গাড়িটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে বর্ধমান থানার পুলিশ।
গাঁজা উদ্ধারের সঙ্গে বারে বারে উড়িষ্যার নাম জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকেও ভাবিয়ে তুলেছে ।এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন ,আমরার বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। উড়িষ্যাতেও তদন্তকারী টিম কাজ করছে । সেখানে আসল ’কিংপিন’টা কে সেটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । ওই ’কিংপিন’ ধরা পড়লেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলে যাবে ।।