এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,৮ মার্চ : শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদে ‘খিলাফতের জন্য মার্চ’ করল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন হিযবুত তাহরীর । মিছিলে শত শত জঙ্গি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে শ্লোগান তুলে এগিয়ে গিয়ে যায় । পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী হিযবুত তাহরীরের শত শত সদস্যকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ জনতা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় এবং যেকারণে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ সংগঠনগুলিকে জনসভা ও সমাবেশ না করার জন্য সতর্ক করে দেয়।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হিযবুত-তাহরির, জনসমাবেশের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রায়শই বিক্ষোভ এবং মিছিলের আয়োজন করে আসছে। লন্ডন-ভিত্তিক হিযবুত-তাহরির একটি প্যান-ইসলামিক রাষ্ট্রে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে চায় কিন্তু বলে যে এর উপায় শান্তিপূর্ণ। ১৭ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং দরিদ্রতম গণতন্ত্রগুলির মধ্যে একটি।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার সাথে লড়াই করছে । আর এই সুযোগে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে ।
শুক্রবার ঢাকায় ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মিছিল প্রসঙ্গে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল বলেন,’গতকাল ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর মিছিল বার করেছিল । দাবি, ইসলামী খেলাফত । সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ- জামান তড়িঘড়ি বিদেশ থেকে ফিরে আসেন এবং তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেন । ক্লীব উপদেষ্টা ইউনুস এই জেহাদিদের হাতের পুতুল । পাকিস্তানের সঙ্গে তার অতিরিক্ত মাখামাখি সেনাপ্রধান পছন্দ করছেন না । আরো খবর, ভারত সরকারের চারজন আধিকারিক ক’দিন ধরে ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে অবস্থান করছেন । এক-আধটা বাংলাদেশী প্রশ্ন করে, আপনি তো ভারতীয়, আপনার এত কি দরকার বাংলাদেশের খবরে ? তা বললে কি হয়, মিঞা ? আমাদের বগলের মধ্যে যে দেশ, তার সম্বন্ধে আমরা কি উদাসীন থাকতে পারি ? আর নাড়ীর টান তো আছেই ! আমার পূর্বপুরুষের বাড়ি যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেকথা ভুলি কি করে ?’