এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৬ জানুয়ারী : বাঁকুড়ায় করোনার টিকার প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে যতটা উৎসাহ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা গিয়েছিল ঠিক তার উলটো চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে । কারন প্রথম ডোজের পর নির্ধারিত সময় উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ডোজের জন্য এযাবৎ ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারমুখী হননি বহু মানুষ । বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া ব্লক মিলে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ করোনা ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেননি বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে খবর । এদিকে সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা । জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কোভিড বুলেটিন থেকে জানা গেছে,শনিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত জেলায় মোট কোভিড পজিটিভ কেসের সংখ্যা ছিল ২২৩৩ । একদিকে দ্বিতীয় ডোজে অনীহা, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান কোভিড আক্রান্তের কারনে চিন্তায় ফেলেছে জেলা প্রশাসনকে ।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে খবর,গত ১১ জানুয়ারী পর্যন্ত বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়ায় প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেননি । যাদের দ্বিতীয় ডোজের সময় ১ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে । জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে তাঁদের ইতিমধ্যেই সনাক্ত করে ওভার ডিউদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে জোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে । প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন থেকে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানা গেছে ।
বাঁকুড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল কুমার সরেন বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে একটু অনীহা রয়েছে । সবাই ভাবছেন হয়তো একটা ভ্যাকসিন নিলেন হয়ে যাবে । কিন্তু দ্বিতীয় ডোজটাও যে নেওয়া দরকার এটা লোকজনকে বোঝাতে পারছি না । অল্প কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য বাইরে কোথাও দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিয়েছেন । কিন্তু সিংহভাগ মানুষের সাড়া পাচ্ছি না ।’ তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ যারা নেননি আশা কর্মীরা তাঁদের চিহ্নিত করেছেন । স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই সমস্ত মানুষদেরকে আশাকর্মীদের মাধ্যমে প্রথমে টোকেন দেওয়া হবে । কতটা ফলাফল পাওয়া যায় দেখা হবে । যদি দেখা যায় যে টোকেন দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা ভ্যাক্সিন নিতে আসছেন না, তাহলে স্থানীয় প্রশাসন থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।’।