এইদিন ওয়েবডেস্ক,গ্রিস,০৮ ডিসেম্বর : গ্রিসে পোল্যান্ডের এক তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক বাংলাদেশি যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করে । গত বছরের জুন মাসে গ্রিসের কস দ্বীপে পোলিশ তরুণী আনাস্তাসিয়া রুবিনস্কা (২৭)কে অপহরণের পর ধর্ষণ ও নির্মমভাবে হত্যা করে প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিন (৩৩)। তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।।তবে যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করে সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলার কৌঁসুলি সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ আনেন। শুনানি শেষে শুক্রবার আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় । কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন আনাস্তাসিয়া। সালাহউদ্দিনও একই হোটেলে কাজ করত । ২০২৩ সালের ১২ জুন কাজ শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন আনাস্তাসিয়া । ছয়দিন পর ১৮ জুন আনাস্তাসিয়ার অর্ধনগ্ন লাশ পাওয়া খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে লাশ পাওয়া যায় সেটা সালাহউদ্দিনের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। লাশ পাওয়ার একদিন আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় সালাহউদ্দিনের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যায় একটি সিসিটিভি ফুটেজে থেকে। তাতে দেখা যায়, আনাস্তাসিয়া দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা সেরে আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিল । পরে আনাস্তাসিয়াকে সালাহউদ্দিনের স্কুটারে চড়ে তার ঘরে যেতে দেখা যায়। এই ভিডিওতেই আনাস্তাসিয়াকে শেষবার জীবিত অবস্থায় দেখা যায়। এই মামলার তদন্তকারী ডেভিড বুরজাকি জানান, ‘সালাহউদ্দিন ইতালি যাওয়ার জন্য একটি বিমানের টিকিট কিনেছিলেন এবং দ্বীপ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (সালাহউদ্দিন) গুগলে টাইপ করেছিলেন, ‘মৃতদেহ কীভাবে লুকানো যায়, আঙুলের ছাপ কীভাবে মোছা যায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার উপায়।’
স্থানীয় পুলিশের ভাষ্য অনুসারে, একটি স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা নিহত আনাস্তাসিয়ার লাশ খুঁজে পান। তদন্তে জানা যায়, আনাস্তাসিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং হত্যার আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়।।