এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৩ আগস্ট : বাংলাদেশের রংপুর জেলার তারাগঞ্জে জিহাদিদের হাতে খুন হওয়া রূপলাল দাস ও প্রদীপলাল দাসের উপরেই হত্যার দায় চাপিয়ে দিয়েছে পুলিশ । ঘাতকদের বাঁচাতে পুলিশ মামলার এজাহার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পরিবর্তন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, শুধু এজাহারই পাল্টানো হয়নি, বরং হত্যার দায়ও প্রকারান্তরে নিহতদের ওপর চাপানো হয়েছে।
নিহত রূপলাল দাসের ছেলে ও মেয়ের অভিযোগ, মামলার প্রকৃত ঘটনা গোপন করে পুলিশ একটি বিকৃত চিত্র তুলে ধরেছে। এতে মূল অভিযুক্তদের আড়াল করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, যে এজাহারে ঘটনাস্থলের বর্ণনা ও হামলাকারীদের নাম থাকার কথা ছিল, তা পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । পরিবারের আরও অভিযোগ, এজাহারে পুলিশ রূপলালের স্ত্রী মালতী ওরফে ভারতী রাণীর ফোন নম্বর হিসেবে একটি নম্বর উল্লেখ করেছে, যা আসলে টাঙ্গাইল এলাকার এক ব্যক্তির। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, মামলাটি প্রভাবিত করা হয়েছে ।যদিও তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করে সাফাইয়ে বলেন,’পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করছে। এজাহার পাল্টানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।’
উল্লেখ্য, রূপলাল দাস ও প্রদীপ লাল সম্প্রতি তারাগঞ্জে মুসলিমদের দ্বারা সংঘটিত এক হামলায় নিহত হন। ওই দুজনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হয় ৷ এই ঘটনায় এলাকায় এখনো উত্তেজনা রয়েছে। নিহতদের পরিবার প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং সঠিক তদন্তের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, এজাহার পরিবর্তন হলে মূল আসামিরা পার পেয়ে যাবে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরেই এই হিংসার দায় চাপিয়ে পুলিশ বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিনত করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ।।

