এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৩ নভেম্বর : ‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে’ প্রতিদিন জোড়া গরু জবাই করে গণ ভোজের আয়োজন করছে বাংলাদেশের পত্রিকা ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’ । গত ২১শে নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই বিশেষ গণভোজ । বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ইংরেজি পত্রিকা ‘ব্লিটজ’-এর সম্পাদক সালহা উদ্দিন সোয়েব চৌধুরী কয়েকজন জেহাদীর পিছনে টাঙ্গানো একটি ব্যানার পোস্ট করেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে । ওই ব্যানারে লেখা আছে, ‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথম আলো ডেইলি স্টারের জেয়াফত জোড়া গরু জবেহ’ । উল্লেখ্য যে জেয়াফত কথার অর্থ হল বিশেষ কোনো উপলক্ষ্যে আয়োজিত একত্রভোজনের নিমন্ত্রণ।
ঠিকানা দেওয়া আছে, কাওরান বাজার । এবং বলা হয়েছে এই বিশেষ জিহাদী কর্মসূচি শুরু হয়েছে ২১শে নভেম্বর বিকেল চারটে থেকে । ব্যানারের সবশেষে লেখা হয়েছে, আয়োজনে বাংলাদেশের জনগণ’ । এদিকে নিজের দেশের জিহাদিদের এই প্রকার ঘৃণ্য মানসিকতার তীব্র সমালোচনা করেছেন সাংবাদিক সালহা উদ্দিন সোয়েব চৌধুরী । উল্লেখ্য, ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’ নামে দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্র রয়েছে বাংলাদেশে৷ ওই দুই সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ এই আয়োজন করেছে কিনা জানা যায়নি ।
তিনি প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘নিম্নস্তরের ইতরপনায় লেগে গেলো উগ্র ইসলামী জ-ঙ্গি-র দল। ভারত বিরোধিতার প্রতীক এখন গরু জ-বা-ই। এ ক’দিন হিন্দুদের “ধরে ধরে জ-বা-ই” করার কথা বলা এসব অসুর এখন যা করছে এটা ওদের দেউলিয়াপনার প্রকাশ্য প্রদর্শন। কারণ, গতকাল রংপুর জেলায় হিন্দুদের পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে ঐতিহাসিক জনসমুদ্র দেখে ওদের বুক কেঁপে উঠেছে। এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একাট্টা হয়েছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ওরা এবার প্রতিবার-প্রতিরোধ করতে শুরু করেছেন। যারা কথায়-কথায় হিন্দুদের ভারতের দা-লা-ল আখ্যা দিয়েছে এতোকাল এবার ওদেরকেই পাকিস্তানের দা-লা-ল আখ্যা দেওয়া হবে। আল কা-য়ে-দাসহ জঙ্গিগোষ্ঠী গুলোর সাথে ওদের মাখামাখি প্রকাশ করা হবে। হিন্দুরা বাংলাদেশের ভূমিপুত্র। এদেশে ওনাদের একান্নতম শক্তিপীঠ বিদ্যমান। ওরা কেনো বাংলাদেশ ছাড়বেন?’
‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে’ প্রতিদিন জোড়া গরু জবাই করে গণ ভোজের আয়োজন করছে বাংলাদেশের ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’
