এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৭ নভেম্বর : আদ্যপান্ত নিরীহ আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি । আর এই আখ্যা দেওয়ার কারন হল মুসলিমদের সীমাহীন অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সেদেশের হিন্দুদের উদ্বুদ্ধ করেছে ইসকন । আর হিন্দুদের মুখ বন্ধ করতে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলছে জামাত ইসলামি, হিযবুত তাহ্রীর, বিএনপির মত কুখ্যাত ইসলামি সংগঠনগুলি । ওই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিযবুত তাহরীরকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত । কারন ওই গোষ্ঠীর মতলব ছিল জিহাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ইসলামি রাষ্ট্র ও খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা । এহেন কুখ্যাত ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি মিলে এখন বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে ।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে শিবচর পৌর এলাকার সোনালী মার্কেটে ইসকনের অফিস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার আল্টিমেটাম দিয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠনগুলি । এর আগে সকালে আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষ ইসকন অনুমোদিত শ্রী শ্রী রাধারমন নাম হট্ট মন্দির-এর সামনে লাগানো সাইবোর্ডটি খুলে ফেলে দেয় ।জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শিবচর পৌরসভার টিএন্ডটি রোড এলাকার সোনালী মার্কেটে অফিস নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ইসকন। চট্টগ্রামে আইনজীবীকে হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সকালে শিবচরের ইসকন অফিসে জড়ো হয় স্থানীয় ইসলামি আলেম সমাজ। ইসকন বন্ধের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করে । এরপর শিবচরে ইসকনের অফিস বহেঙে গুড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে তারা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ২৪ ঘণ্টা সময় দেয় ইসকনের অফিস বন্ধ করার জন্য । পাশাপাশি ইসকনের সদস্যদের অফিস ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অফিস গুটিয়ে না নিলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় আলেম সমাজের লোকজন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ জাফর আহমাদ নামে এক জঙ্গি হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘শিবচরে ইসকনের অফিস রয়েছে, সেখানে তাদের সদস্যরা থাকেন এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই অফিস বন্ধসহ সদস্যদের স্থায়ীভাবে এখান থেকে চলে যেতে হবে। তা না হলে কঠোরভাবে আলেম সমাজ মোকাবিলা ও প্রতিরোধ করবে।’ এ ব্যাপারে মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ মোকতার হোসেন বলেন, ‘শিবচরে ইসকনের একটা অফিসে আলেম সমাজের লোকজন এসেছিল। সেখানে ইসকনের ৩ জন সদস্য থাকেন। তাদের বাড়ি শরিয়তপুর। আলেম সমাজের উপস্থিতি হওয়ার পর ইসকন সদস্যরা চলে যায়। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ কিন্তু ২৪ ঘন্টার পর অফিসের সদস্যদের তিনি নিরাপত্তা দেবেন কিনা তা জানাননি ।।