এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,২৫ মার্চ : ভারতে এসে ভারতকেই গালাগালি করতে শুরু করে বাংলাদেশি মহম্মদ আজাদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি । এতে চরম ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় বাসিন্দারা । তারপর থেকে তার পিছু নেয় কয়েকজন হিন্দু যুবক । ওই বাংলাদেশি গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টোটো,গাড়ি বা বাইইকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানায় । কিন্তু স্থানীয় যুবকরা তার কীর্তির কথা খুলে বললে কেউই তাকে সাহায্য করেনি । আজ মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধার ঘটনা । বাধ্য হয়ে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে তাকে চ্যাংড়াবান্ধা বাজারের দিকে পায়ে হেঁটে যেতে হয় । ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ওই বাংলাদেশিকে মেখলিগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ । তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর চেকপোস্টে এনে এফআরও ভিসা বাতিল করে ফের নিজের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মণিভূষণ সরকার ।
জানা গেছে,শিলিগুড়ির একটা স্কুলে পড়াশোনা করে বাংলাদেশি মহম্মদ আজাদুর রহমানের ছেলে । ছেলেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল সে । মেখলিগঞ্জের চ্যাংড়াবান্ধার আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে সে ভারতে প্রবেশ করে । শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য একটা গাড়িও ভাড়া করে ওই বাংলাদেশি । কিন্তু গাড়িতে উঠে সে চালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেয় এবং ভারত সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকে । সেই সময় কয়েকজন স্থানীয় হিন্দু যুবক সেখানে জড়ো হয়ে যায় । তারা প্রতিটি গাড়ি ধরে ধরে ওই বাংলাদেশির কুকীর্তির কথা খুলে বলে । ফলে সমস্ত গাড়ি চালকরা তাকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকার করে । শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে জিরো পয়েন্ট থেকে তাকে চ্যাংড়াবান্ধা বাজারের দিকে পায়ে হেঁটে যেতে হয় । অবশ্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আগে সে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় । এদিকে এই ঘটনার পর বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ‘ভারতের প্রতি যখন তোদের এতই আক্রোশ তাহলে চিকিৎসা করাতে পা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা জন্য পাঠাস কেন?’