এইদিন ওয়েবডেস্ক,হাওড়া,১৭ আগস্ট : বিজেপির বিরোধিতা করে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ধরিয়ে দিল বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মিজান মিঁয়াকে । দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ঘাঁটি গেড়েছিল সে । স্থানীয় সহানুভূতিশীল দালালের সৌজন্যে আধার, ভোটার ও প্যান কার্ড বানিয়ে ফেলেছিল । সেখানকার এক মহিলাকে বিয়ে করে । তাদের সন্তানও রয়েছে । চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজও জুটিয়ে ফেলে মিজান । কিন্তু এসআইআর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে শাপশাপান্ত করতে গেলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের র্যাডারে চলে আসে সে । আগরতলা বিজেপি কর্মীরা তার বাংলাদেশি পরিচয় পেয়ে মিজান মিঁয়ার ছবি ভাইরাল করে দেয় । কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়ি আসার পর এরপর সে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ট্রেন ধরে কর্মস্থলে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশনে কয়েক জন স্থানীয় বিজেপি কর্মী মিজানকে ঘিরে ধরেন । খবর দেওয়া হয় গোলাবাড়ি থানায়। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । পুলিশের কাছে মিজান স্বীকার করে নেয় যে সে একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ।
জানা গেছে,প্রায় ২২ বছর আগে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মিজান মিঁয়া । ৷ সেই সময় রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম ।স্থানীয় এক সহানুভূতিশীল দালালের মাধ্যমে জুটে যায়
জাল জন্ম শংসাপত্র । সেই শংসাপত্র দিয়ে ভারতীয় আধার, ভোটার ও প্যান কার্ড বানিয়ে দেয় দালাল । ভারতীয় নাগরিক বনে যাওয়ার পর বিয়ে করে এবং একটা কাজও জুটিয়ে ফেলে ওই বাংলাদেশি । স্ত্রী সন্তান নিয়ে আগরতলায় তার এখন ভরপুর সংসার । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । চেন্নাইয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ট্রেনে চড়ে হাওড়ায় আসতেই ধরা পড়ে গেল মিজান মিঁয়া নামের ওই বাংলাদেশি ।
বিজেপি জানিয়েছে,শুক্রবার সকালে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়ায়-স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাছে ঐ বাংলাদেশীকে আটক করেন বিজেপির রাজ্য- সম্পাদক ও উত্তর-হাওড়া কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী উমেশ রাই । তিনি ঘটনাটি হাওড়ার পুলিশ-কমিশনার প্রবীন ত্রিপাঠীকে জানান । পরে ওই বাংলাদেশীকে গোলাবাড়ী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । জানা গেছে,প্রথমে পুলিশ অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে মিজান মিঁয়া । কিন্তু পুলিশের ম্যারাথন জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে এবং জানায় যে সে আদপে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী । পুলিশের জেরায় ওই বাংলাদেশি কবুল করে যে সে । ২২ বছর আগে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অঅনুপ্রবেশ করে । তারপর সেখানেই পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন। তাঁর আধার ও ভোটার কার্ডে ত্রিপুরার ঠিকানা রয়েছে। সেখানকার এক মহিলাকে বিয়ে করে । চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজও জুটিয়ে ফেলে মিজান । কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় ফিরেছিল । শুক্রবার ফের ফিরে যাচ্ছিল কর্মস্থলে । মিজানের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা শুরু করে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠালে ১৪ দিনের জন্য জেলে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক । পুলিশ এখন ওই দালাল চক্রের খোঁজ শুরু ।।