এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১০ ডিসেম্বর : গোটা বিশ্বজুড়ে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ আজ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে । ভারত এবং ইউরোপের অমুসলিম দেশগুলিতে ‘হিজরত’ এর নাম করে ভিড় জমিয়ে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্র করছে মুসলিম শরণার্থীরা । এদিকে এশিয়ায় ইসলামি সন্ত্রাসবাদের এপি সেন্টার পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে বাংলাদেশও ইসলামি সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টারে পরিনত হয়েছে । নিজেদের কদর্য ও ধ্বংসাত্মক চরিত্রকে আড়াল করতে ইসকন ও বাংলাদেশি হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দিতে শুরু করেছে হিযবুত, জামাত ইসলামি এবং বিএনপির মত জঙ্গি সংগঠনগুলি । উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে হিন্দু শুণ্য করে হিন্দুদের জমি জায়গা ঘরবাড়ি দখল করে নেওয়া ।
এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আধাপীঠ রামকৃষ্ণ মন্দিরের সামনে জমি খালি করার হুমকি দিয়ে ব্যানার টানানো হয়েছে । ব্যানারটি টাঙিয়েছে স্থানীয় ইসলামি মৌলবাদের আখাড়া মসজিদ ও মাদ্রাসার জঙ্গিরা । এমনকি মন্দিরের সন্ন্যাসীসহ কয়েকজনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয়েছে । ব্যানারের শিরোনামে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার এবং সচেতন নাগরিকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ । উগ্রপন্থি হিন্দু সংঘ কর্তৃক জোরপূর্বক দখলকৃত মুসলিমদের জায়গা দখলমুক্ত চাই। অসম্প্রদায়িক নতুন বাংলাদেশে আমরা কোন সাম্প্রদায়িক সংঘাত চাই না।’ আরও লেখা হয়েছে, ‘অন্নদা ঠাকুর আদ্যপীঠ রামকৃষ্ণ সংঘ উত্তর গুজরা মন্দির, রাউজান, চট্টগ্রাম, এর ট্রাষ্ট্রি- সন্ত্রাস ব্রহ্মচারী মুরশ্নে, কমিটির সভাপতি-সন্ত্রাস দিলীপ্তে, সেক্রেটারি- সন্ত্রাস শ্যামল্লে, ১০নং উত্তর গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান-খুনি আব্বাস, ৭নং রাউজান সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান- জুলুমবাস জসিম উদ্দিন হিরুইয়ে, ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার- জহির উদ্দিন ও নুর হোসেন দুলাল এদের সহযোগিতায় এবং রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য সন্ত্রাস ফজলে করিম জুইন্ন্যার প্রত্যক্ষ নির্দেশে মন্দির এর আশে পাশে কমলা পিতার বাড়ি
বায়তুল আমান জামে মসজিদ, খোলাফায়ে রাশেদীন (রঃ) দাখিল মাদ্রাসা এবং অনেক মুসলিমদের জোরপূর্বক দখলকৃত জায়গার উদ্ধারপূর্বক সুষ্ঠু সমাধান চাই। জনগনের শেয়ার চাই।’ এবং সবশেষে লেখা হয়েছে,’নিবেদকঃ মসজিদ কর্তৃপক্ষ, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও জায়গার মালিকগণ।’ ব্যানারে চার জনের ছবির সামনে ফাঁসির দড়ি ঝুলতে দেখা গেছে ।
তবে যেটা জানা যাচ্ছে যে শেখ হাসিনার সময়ে ঠাকুর আধাপীঠ রামকৃষ্ণ মন্দির ও সামনের জমি বৈধভাবে কেনা হয়েছিল । মন্দিরের ট্রাস্টিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাও । এখন রাজনৈতিক রঙ দিয়ে আশ্রমটি তুলে দিয়ে গোটা এলাকা হিন্দু শুণ্য করার ষড়যন্ত্র করছে জামাত ইসলামি ও বিএনপির জঙ্গিরা ।।