এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৮ এপ্রিল : ‘লাভ জিহাদে’ ফেঁসে যাওয়া হিন্দু মেয়েরা চরম বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে তার নিজের সম্প্রদায়েরই ছেলেদের জন্য । প্রমি দাস নামে এক তরুনীর ষড়যন্ত্রে জীবন সংশয়ের মুখে পড়েছে সৈতক সরকার নামে এক যুবকের । আসলে সৈতক ইসরায়েলের সমর্থক । তার সাথে পমি দাসের এনিয়ে মেসেঞ্জারে কথোপকথন হয়৷ প্রমি জিজ্ঞেস করে, ‘কেন ইসরাইলকে সাপোর্ট করেন ?’ উত্তরায় সৈকত বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ব থেকে ইসলাম জাতি টাই ধ্বংস হয়ে যাক । মুসলিম জাতি হল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ।’ প্রতিক্রিয়ায় প্রমি দাস লিখেছে, ‘ইস, আপনি মানুষ না৷ একটা অমানুষ ভাই আপনি । এমন অমানুষের সঙ্গে আমার কথা বলতে রুচিতে বাধে ।’ শুধু তাই নয়, প্রমি দাস এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট তার মুসলিম প্রেমিককে পাঠিয়ে দেয় । এরপর প্রমী দাসের মুসলিম প্রেমিক সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় । একজন স্থানীয় জিহাদীরা ধর্মনিন্দার অভিযোগ তুলে সৈকত সরকারকে ‘সরতন সে জুদা’ করার ফতোয়া জারি করেছে । প্রাণ বাঁচাতে ওই হিন্দু যুবক এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ।
“সনাতনি কন্ঠস্বর” নামে একটা ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ঠিকানা দেওয়া “রঙ তুলি” নামে এক ব্যবহারকারী ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখেছেন,’এই যে প্রমি নামের মেয়েটাকে দেখছেন, সে এখন মুসলমানদের চোখের মণি হয়ে গেছে, কারনটা হচ্ছে তার আইডি থেকে এক হিন্দু ছেলের সাথে হওয়া কিছু চ্যাট সে পোস্ট করেছে। এবং সেই ছেলেটার জীবন নিয়ে টানাটানি হচ্ছে এখন। কারন আপনারা তো সবাই জানেনই যে দেশে উগ্র জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে। ওরা পদে পদে হিন্দুদের ওপর হামলা করে,প্রতিটা পদে পদে।
তা এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন এসব পোস্ট ওই “প্রমি দাস” করেছে। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা! কি অবাক হচ্ছেন তো? হওয়ারই কথা কারন ওর আইডি থেকে ওর মুসলিম বয়ফ্রেন্ড এসব চ্যাট করে পোস্ট করেছে। সে কিন্তু পুরো চ্যাটের স্ক্রিনশট দেয়নি,যেগুলোতে ওর উস্কে দেওয়া চ্যাট গুলো ছিলো,সে খালি নিজের পক্ষের চ্যাট গুলো আর ওই ছেলের ক্ষিপ্র মন্তব্য গুলোরই স্ক্রিনশট পোস্ট করেছে। তার মানে বুঝতেই পারছেন যে এসব ওই মুসলিম ছেলেটার পূর্ব পরিকল্পনার একটা অংশ। যাতে এই ছেলেকে ফাঁসানো যায় আর তাকে হ*ত্যা করা যায়।’
তিনি আরো লিখেছেন,’এখন এখানে দুটো জিনিস স্পষ্ট, ১: প্রমি দাসের লাভ জিহাদ ও তার পরিবারের অজ্ঞতা। ২: সৈকত নামের ছেলেটার জীবন নিয়ে টানাটানি। এখন আপনার আমার এই হিন্দু সমাজের করণীয় কি?
১) হিন্দু মেয়েরা যতই বিশ্বস্তই হোক না কেন,কখনো তার সাথে নিজ ধর্ম বাদে কখনো অন্য ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
২)মুসলিম বন্ধু বা বান্ধবীটা যতই বিশ্বস্ত হোক না কেন,কখনো তার সাথে ধর্ম নিয়ে,ফিলিস্তিন নিয়ে,ইসরায়েল নিয়ে,ইসলাম বা নিজ ধর্ম নিয়ে কোনো অবস্থাতেই কথা বলা যাবে না।
৩) যদি দেখেন এরা খুব জোর দিচ্ছে ধর্ম নিয়ে কথা বলার জন্য তাহলে তৎক্ষনাৎ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। কারন এরা ধর্ম নিয়ে তখনই কথা বলতে আগ্রহী হবে যখন ওপর থেকে আদেশ আসবে বা ওর মনে কুচক্রের উদয় হবে আপনাকে ফাসানোর।’ তিনি নিজ সম্প্রদায়ের যুবকদের পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন,’তাই সকল হিন্দু ছেলে মেয়েদের একটাই কথা বলবো। কোনো অবস্থাতেই ফেসবুকে, মেসেঞ্জারের চ্যাটে,হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে, ইন্সটাগ্রাম চ্যাট বা পোস্টে ইসলাম নিয়ে কথা বলতে যাবেন না।’।