বাংলাদেশের একজন “আলেম” পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন । বাংলাদেশের নোয়াখালীর বাসিন্দা মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী সম্প্রতি একটি “ওয়াজ মাহফিলে” মজার ছলে এই প্রস্তাব দেন৷ গত ৫ নভেম্বর তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপটি “এ মিডিয়া ১০” নামে ওই আলেমের ফেসবুক পেজে(লিঙ্ক :https://www.facebook.com/ share /r/ 1BWLFhUTnk/) পোস্ট করা হয়েছে । ভিডিওতে রফিকুল্লাহ আফসারীকে বলতে শোনা গেছে, “আমি চাচ্ছি, আমার মমতা আপুকে এখানে দিয়ে দেওয়া হোক । আপুর যদি হাজবেন্ড না থাকে,আমার প্রিয় আপুকে আমি বিয়ে করব । আপু চলে আসুন, মিলেমিশে থাকি আমরা । আই লাভ ইউ । বুক ভরা ভালোবাসা তোমাকে দেবো । চলে আস বাংলার জমিনে ।”
এদিকে আলেম মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারীর এই বক্তব্যে বিভিন্ন জন বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন । শরিফুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন,”কত বড় নাফরমান এক দিক দিয়ে বলে আপু অন্যদিক দিয়া বলে বিয়া করব।” স্বপ্নময় বড়ুয়া লিখেছেন,”মনের আসল সত্যি কথাটা প্রকাশ করেছেন,,ওনি হাসির হলেও কথাটি,এটা বলার জন্যও মনের জোড় থাকা দরকার,,আসলে ওনি সত্যি মমতাকে ভালোবাসে৷”
মনোরমা বিশ্বাস লিখেছেন,”মন জয় করে নিছে মুল্লা… নিয়ে জান নিয়ে জান আমরা বাঁচি তা হলে ।”
সুভাস রয় লিখেছেন,”মমতার জন্য উনি একমাত্র যোগ্য পাত্র। এতদিন কেন উনি আশাটা প্রকাশ করেন নি কেন?” আকিব শা লিখেছেন,”আহহা। নিজের তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের নামে এই জামাতী কমেডি প্রতিনিয়ত এই ধরনের কাজ করে। কেউ একে থামানোর প্রয়োজন বোধ করেনা?! আফসোস ।” পবিত্র বর্মন লিখেছেন, “নিয়ে জা নিয়ে জা… নিয়ে গেলে আমরা একটু শান্তিতে বাচি।” পিউ কর্মকার লিখেছেন,”তাড়াতাড়ি নিয়ে যান এই মহিলা আপনার জন্য একদম ঠিক ।” ওমর ফারুক লিখেছেন,”একটা আলেমের মুখের ভাষা কি এমন হতে পারে?” এর আগে বাংলাদেশ হাইকোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি-এর প্রাক্তন সাংসদ রুমিন ফারহানাকেও বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রফিক উল্লাহ আফসারী । বাংলাদেশি আলেমের বক্তব্য শুনুন 👇
কে এই মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী?
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী, কৌতুকপ্রবণ বক্তা হিসেবে পরিচিত নোয়াখালীর মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী (Rafiqullah Afsari) একজন পরিচিত ইসলামিক বক্তা, যিনি তার ওয়াজ মাহফিলের জন্য সুপরিচিত; তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়, যেমন – কেয়ামত, কোরান, শয়তান, বিবাহ, ও ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন এবং তার ওয়াজগুলো ইউটিউবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যেখানে তাকে ‘মুহাদ্দিস’ উপাধিতেও ডাকা হয়। তার জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য (যেমন জন্ম তারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা) সহজলভ্য না হলেও, তিনি মাদ্রাসার শিশুদের নির্যাতন নিয়ে সোচ্চার এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করেন, বিশেষত কোরানের তাফসীর ও শয়তানের সৃষ্টি নিয়ে তার বক্তব্যগুলো জনপ্রিয় । তবে রফিক উল্লাহ আফসারীর পরিচিতির একটি অংশ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোজি আফসারীর সাথে সম্পর্কিত, যিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন৷ “ওয়াজ” হলো মানুষকে সদুপোদেশ দেওয়া ও তাদের কল্যাণের পথে ডাকা । কিন্তু এই প্রকার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাওলানা রফিকুল্লাহ আফসারী মাঝে মধ্যে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে যাওয়ায় নিজের দেশের একাংশের সমালোচনার শিকার হতে হয় তাকে । ইউটিউবে তার ওয়াজের ভিডিওর শিরোনামগুলোর মধ্যেও আদিরসাত্মক ইঙ্গিত মেলে । অবশ্য বাংলাদেশের ভিজিটররা তার ভিডিও দেখতে খুবই পছন্দ করে । এমন কয়েকটি শিরোনাম হল : ‘বিয়া যে এত মজা আগে জানলে আব্বার আগে বিয়ে করতাম!’, ‘নোয়াখালী হুজুরের চরম হাসির ওয়াজ, হাসিতে বাধ্য থাকবেন’, ‘টেলিভিশন শরীফ বাই রফিকুল্লাহ আফসারী’, ‘নোয়াখালী ভাষায় চরম হাসিও ওয়াজ তোরা ভেটকাস কেনু’, ‘দিল ঠাণ্ডা না হলে এমবি ফেরত’ প্রভৃতি ।।

