এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,০১ ডিসেম্বর : আসামের শিবসাগর জেলার নাজিরা শহরের বিখ্যাত শিব মন্দির থেকে ‘বাবা অগ্নিনাভ’-এর পবিত্র মূর্তি চুরি করে অপবিত্রতা করেছে আরিফ আলী নামে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম ব্যক্তি । অপেক্ষাকৃত নতুন মন্দির হওয়া সত্ত্বেও, এটি তার আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের জন্য, বিশেষ করে নিঃসন্তান দম্পতিদের আশীর্বাদ এবং ভক্তদের ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রচুর শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে প্রতিদিন শত শত ভক্ত অগ্নিনাভ মন্দিরে যান।
অর্গানাইজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম পুলিশের দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং অন্যান্য মূল্যবান অলঙ্কার সহ পবিত্র মূর্তিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চুরির মুহুর্তের দৃশ্য । তাতে দেখা গেছে কিভাবে বাংলাদেশি দুষ্কৃতী আরিফ ও তার দল মন্দিরে প্রবেশ করে এবং একটি লম্বা বাঁশের লাঠি দিয়ে সোনার মুর্তি ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস বের করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মূর্তি উদ্ধারের পর ভক্তদের বিশ্বাস এবং এই পবিত্র স্থানটির পবিত্রতা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ভবিষ্যতে এই ধরনের ধর্ম অবমাননা রোধ করার জন্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে বর্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ।
বলা হয়েছে,শুধু অগ্নিনাভ মন্দির নয়, সাম্প্রতিক অতীতে অনেক হিন্দু ধর্মীয় স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসলামপন্থীরা। ভক্তরা তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য পুলিশের প্রতি স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং নতুন ভক্তির সাথে তাদের প্রার্থনা এবং আচার- অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখে মন্দিরে তাদের দর্শন আবার শুরু করেছে। চলতি বছরের জুন মাসে, মহামায়া মন্দিরে সাম্প্রতিক চুরির ঘটনায় কোকরাঝাড় পুলিশ চার জনের একটি দলকে গ্রেপ্তার করেছিল। প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে, সন্দেহভাজন মন্ডল আলী, সরিফ উদ্দিন, হযরত আলী এবং আসরাফুল আলীকে ১৩ জুন ভোরে বিলাসীপাড়া থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ মকবুল হাসান নামে এক দুষ্কৃতীর নাম জানতে পারে । এরপর তার বাড়িতে হানা দিয়ে চুরি করা মালাপত্র উদ্ধার করা হয় ।
এছাড়া গত ৭ নভেম্বর, একদল ডাকাত অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে আসামের বাক্সার হাটখোলায় গোর আলীর ঐতিহাসিক ভোলা নাথ শিব মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটায় । দানবাক্সের টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে দুষ্কৃতীরা । অন্ধকারের সুযোগে ঘটনাটি ঘটে । প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, হাজার হাজার ভক্ত আশীর্বাদ এবং আধ্যাত্মিক আশ্রয়ের সন্ধানে আনন্দবাজার থানার নিয়ন্ত্রণাধীন ওই মন্দিরে ভিড় করেন ।।