এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০২ জানুয়ারী : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC) সদস্য প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিওতে তিনি দিল্লিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তিকে দেখিয়েছেন, যাকে তিনি বাংলাদেশের আমির হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে ইউপিএ আমলে জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের (এনএসি) সদস্য হর্ষ মান্ডার ২০১০ সালে তাঁর ভোটার কার্ড তৈরি করেছিলেন। ভিডিওতে ওই বাংলাদেশি কথপোকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে ।
প্রিয়াঙ্ক কানুনগো লিখেছেন,’আমির দিল্লিতে বসবাসকারী একজন অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী,২০১০ সালে, সরকারের এনএসি-এর সদস্য হর্ষ মান্ডার তার ভোটার কার্ড তৈরি করেছিলেন এবং তিনি ভোট দেন। ভারতের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির প্রতি তার ঘৃণা রয়েছে এবং তিনি তাকে অপসারণ করতে চান কারণ তিনি তার নিজের কেউ নন। এর লক্ষ্য হল জনসংখ্যা বাড়ানো, এর ইতিমধ্যেই ৫ সন্তান রয়েছে, আমিরের ৫৫ বছর বয়সেও সন্তানের জন্ম হতে চলেছে।তার পরিবার লাল কেল্লার কাছে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকে, খাবার, পুষ্টি, ওষুধ, চিকিৎসা, শিশুদের শিক্ষা ইত্যাদি, তাদের জীবনযাত্রার সমস্ত খরচ দিল্লি রাজ্য সরকারের খরচে, তাই সন্তান জন্ম দেওয়া এবং ভোট দেওয়া ছাড়া,তারা স্থায়ী ভিত্তিতে কোন কাজ বা শ্রম করে না।’
ভাইরাল ভিডিওতে আমির জানাচ্ছেন তিনি ১৯৭১ সালের পর ভারতে এসেছিলেন। বাংলাদেশি আমিরকেও অভিযোগ করতে শোনা যায় যে ভারত সরকার তার জন্য কিছুই করেনি । ওই বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলা সাংবাদিক তাকে বলেন,’এতগুলো সন্তান নেওয়ার কি যুক্তি ? এই বয়সে সন্তানের জন্ম দিতে তোমার লজ্জা লাগে না ?’ যদিও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে তার এই শ্লেষের প্রভাব তেমন কিছু পড়েনি ।।