এইদিন বিনোদন ডেস্ক,২৯ ডিসেম্বর : মুসলিম হয়েও নিকাহ না করে লিভ টুগেদার করায় ইসলামপন্থীদের রোষানলে পড়লেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা । প্রকাশ্যে ইসলাম পরিপন্থী জীবনযাপন ও কাজ (লিভ টুগেদার) করার অভিযোগ তুলে অভিনেত্রীকে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে আরিফুল খবির নামে এক ব্যক্তি । সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মাধ্যমে সে ওই নোটিশটি পাঠিয়েছে ।
আসলে ছোটপর্দার অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমাদের সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে, ইনশাল্লাহ।’ তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, একজন মুসলমান হয়েও ইসলাম পরিপন্থী জীবনযাপন করছেন তিনি। একই সঙ্গে ইসলাম পরিপন্থী কাজ (লিভ টুগেদার) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন এবং সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই অভিনেত্রী। তার এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আরিফুল খবির।
নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি (স্বাগতা) হাসান আজাদ নামক একজন ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছেন বলে স্বীকার করেন। যা বিগত ১ (এক) বছর যাবৎ করেছেন তাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন এবং পাশাপাশি লিভ টুগেদার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।যেহেতু আপনি একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আপনার জানা আছে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে সহবাস বা লিভ টুগেদার করা সম্পূর্ণ রূপে হারাম। আপনি উক্ত হারাম বিষয়টি নিজে করে অপরকে করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন।
যার কারণে সমাজে ব্যভিচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সমাজে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আপনার উক্ত রূপ বিবৃতির কারণে মুসলমান ধর্মাবলম্বীগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত প্রদান করেছেন।
নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আপনার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন এবং তা নোটিশ প্রদানকারী আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করবেন, অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।এদিকে, নোটিশের জবাবে গণমাধ্যমকে স্বাগতা বলেন, আমি কাউকে লিভ টুগেদারে উৎসাহ দিইনি। এটা যার যার ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের ব্যাপার। আমার আগেও অনেকে লিভ টুগেদার করেছেন। আমার কথায় কেউ উৎসাহী হয়ে লিভ টুগেদার করবে বলে আমি মনে করি না।
তবে লিভ টুগেদারের জন্য নিজের প্রথম সংসার ভাঙনের দায় দেখছেন স্বাগতা। তিনি বলেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের সম্মতিতে লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমার ভুলটা কোথায়? আমার প্রথম বিয়েটা তো ওয়ার্ক করে নাই। বিয়ে নিয়ে আমার মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছিল, যদি আগেরবারের মতো আমাকে অত্যাচার সহ্য করতে হয়! আবার যদি একই রকম ঘটনা ঘটে? এ কারণে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেদের ভালোভাবে বুঝে নিয়েছি।যিনি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তার উদ্দেশে অভিনেত্রী বলেন, যার অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে, তাকে অনুরোধ করবো, তিনি যেন তার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিয়ম মেনে চলেন, আমার নিয়ম তাকে মানতে হবে না। আমি কোন বাস্তবতায় কী করেছি, সেটা তিনি বুঝতে পারবেন না।।