প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ ডিসেম্বর : ‘বাংলাদেশে যা কিছু ঘটে চলেছে তার দিকে ভারত এখন শুধু নজর রেখে চলেছে।বাংলাদেশ এমন বনে যাবে তা আমারা ভাবিনি।তবে ঠিক এক সময়ে এক মিনিটের ব্যাপার, সব খেলা শেষ হয়ে যাবে’। বাংলাদেশের ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ঘোষণা এবং ভারতেকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া নানা হুমকি শাসানির জবাবে এই মন্তব্য করলেন প্রখ্যাত অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন ভারতকে আন্ডার এস্টিমেট করলে চরম ভুল হবে।
পশ্চিমবাংলায় বিজেপির সদস্যকরণ অভিযান কর্মসূচিতে উৎসাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব আসরে নামিয়েছে দলের নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। সেই কর্মসূচি তে গতি আনতে মিঠুন চক্রবর্তী সোমবার দুপুরে প্রথম পৌঁছান পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে পাঁচরা এলাকার একটি সভাগৃহে ।সেখানে সবার শুরু হতে না হতে বিশৃঙ্খলা দেখে বিতস্রদ্ধ হয়ে মিঠুন চক্রবর্তী ১০ মিনিটের মধ্যে সভাঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। সেখান থেকে তিনি সোজা রওনা দেন বর্ধমানের জেলা পার্টি অফিসের উদ্দেশ্যে। জেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠকেও বিজেপির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভের কথা উগরে দেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমি বিজেপির সংগঠন নিয়ে ১০০ শতাংশ সন্তুষ্ট নই। এটা বলতে আমি ভয় পাই না। আমি খোলাখুলি বলছি, বঙ্গ বিজেপিকে আরো শক্তিশালী হতে হবে।। নিজেদের মধ্যে খিটিমিটি যা আছে, তা সব মিটিয়ে নিয়ে সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। মিঠুন চক্রবর্তীর কথায়, “এখন দেখা যাচ্ছে বিজেপির লোকজনের পার্টিকে ভালোবাসা কম, পাওয়ারের ইচ্ছেটা বেশি দেখাচ্ছে।“ তবে এসব ঠিক হয়ে যাবে বলে মিঠুন চক্রবর্তী। আশা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষ এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হয়ে চলা নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “ভারত একটা বিশাল দেশ। বাংলাদেশ কি ! ওরা যা বলছে বলতে দিন। তবে ওরা ভারতকে আন্ডার এস্টিমেট করলে ভুল হবে। একটা দেশ আর একটা দেশের উপর যখন কিছু করতে যায়।, তখন অনেক কিছু বাধা আসে। ইউনাইটেড নেশন থেকেও বাধা আসবে। অনেক কিছু জটিলতাও আছে।। সেই জন্যই ভারত এখন বাংলাদেশের গোটা পরিস্থিতির ওপর শুধু নজর রাখছে। ঠিক এক সময়ে, এক মিনিটের ব্যাপার, সব খেলা শেষ হয়ে যাবে বলে মিঠুন চক্রবর্তী মন্তব্য করেন।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়া নিয়ে কটাক্ষ করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলা জঙ্গিদের সর্ব রাজ্য হয়ে গেছে,এটাতো আমাদের জন্য বিশাল গর্বের ব্যাপার ! কাশ্মীরে জঙ্গি এখানেই আসবে, এখানেই ট্রেনিং নেবে। ট্রেনিং নিয়ে আবার অন্য কোথাও হামলা করবে”। মানুষ মরুক বা যাই হোক, এই রাজ্যের সরকারের কিছু যায় আসে না। এই রাজ্যের সরকার শুধু বিজেপি আর কেন্দ্রকে ছোট করতেই ব্যস্ত“। এইসব কথা তুলে ধরার পর মিঠুন চক্রবর্তী বলেন,“আমাদের সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে,নইলে এই রাজ্যটাও বাংলাদেশ হয়ে যাবে বলে তিনি নিশ্চিত’। তসলিমা নাসরিনের নাটক নিষিদ্ধ করা নিয়েও বাংলা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, যে কোন কিছু নিষিদ্ধ করাই তো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রথম কাজ। যে কোন কিছু ওদের বিপক্ষে গেলেই ওরা নিষিদ্ধ করে দেয় বলে মিঠুন চক্রবর্তী দাবী করেন।।