এইদিন স্পোর্টস নিউজ,২০ ফেব্রুয়ারী : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে ল্যাজেগোবরে হয়ে গেল বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ ভারতকে একটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেবে বলে আশা করেছিল। কিন্তু ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের মুখে পড়ে সেই আশায় জল ঢেলে দেয় ৷মাত্র ৩৫ রানের ব্যবধানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ বিপাকে পড়ে যায় । দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। দলের খাতায় ৩৫ রান যোগ হতে না হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা । সর্বশেষ খবর, ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছে বাংলাদেশ ।
এই ম্যাচে ভারতের হয়ে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলে ওঠেন মোহাম্মদ শামি এবং অক্ষর প্যাটেল। শামি ২টি উইকেট নেন, আর অক্ষর প্যাটেলও ২টি উইকেট নেন। উদীয়মান খেলোয়াড় হর্ষিত রানা ২ টি উইকেট নেন।
এদিকে আজ তাদের দুর্বল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ দুটি খারাপ রেকর্ড তৈরি করেছে, যার মধ্যে আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে প্রথম ১০ ওভারে তাদের চতুর্থ খারাপ রানের রেকর্ডটি নিজেদের দখলে রেখেছে বাংলাদেশ । আজকের ম্যাচে উইকেট ও রানের দিক থেকে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এর আগে, ২০০২ সালে, কলম্বোতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান করেছিল বাংলাদেশ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলায় প্রথম ১০ ওভারে সবচেয়ে বেশি উইকেট হারানোর রেকর্ড :
৪৪/৬ বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড, কলম্বো এসএসসি ২০০২
২৭/৬ পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, মোহালি ২০০৬
২৬/৫ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাউদাম্পটন ২০০৪
৩৯/৫ বাংলাদেশ বনাম ভারত, দুবাই ২০২৫
আজকের ম্যাচে শামির রেকর্ড :
২০১৫ সাল থেকে আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টে সর্বাধিক উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় ভারতের মোহাম্মদ শামি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তিনি মোট ২০টি উইকেট নিয়েছেন, তারপরে ট্রেন্ট বোল্ট ২৬টি উইকেট নিয়েছেন।
২০১৫ সাল থেকে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বাধিক পাওয়ারপ্লে উইকেট (SR)
২৬ ট্রেন্ট বোল্ট (৩৩.৬)
২০ মোহাম্মদ শামি (১৯.৮)
১৯ মিচেল স্টার্ক (৩২.৮)
১৪ ক্রিস ওকস (৪০.২)
১৩ জশ হ্যাজেলউড (৩৮.৩)
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ড্য, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা এবং মোহাম্মদ শামি।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), জাকের আলী, মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমান।