এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১২ অক্টোবর : যখন থেকে বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামি ও বিএনপির হাতে গেছে, তারপর থেকেই চুড়ান্ত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হিন্দুদের জীবন । প্রায় দিনই বাংলাদেশের হিন্দুদের খুন, মেয়েদের অপহরণ-ধর্ষণ ও জোর করে মুসলিম ব্যক্তিকে নিকাহ করতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটে চলেছে । শারদোৎসবের মধ্যে বাংলাদেশের বহু দুর্গাপূজা মণ্ডপে জিহাদি হামলার ঘটনা ঘটেছে । আজ শুভ বিজয়া দশমীর দিন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের একজন প্রবীণ হিন্দু সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্র (৬৫) কে ডেকে নিয়ে গিয়ে জবাই করে খুন করেছে ৪-৫ জন ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা । তাঁর বাম হাতের কব্জি থেকে নিচের অংশ কুপিয়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় । ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়ার টানপাড়া এলাকায় । এই ঘটনায় একজন ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । কিন্তু অভিযোগ উঠছে যে তাকে নেশাখোর প্রতিপন্ন করে এই সন্ত্রাসী হামলাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,আজ বিজয়াদশমীর দিন শম্ভুগঞ্জ মাঝিপাড়ার বাসিন্দা স্বপন কুমার ভদ্র স্থানীয় মন্দিরে দেবীকে বিজয়ার প্রনাম করতে গিয়েছিলেন । সেই সময় একজন সন্ত্রাসী মন্দির থেকে কৌশলে বের করে কিছুটা পাশে চায়ের দোকানের কাছে নিয়ে যায় ।
আগে থেকেই সেখানে মজুত ছিল আরও কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী । স্বপনবাবু সেখানে যেতেই ৪-৫ জন সন্ত্রাসবাদী ধারাল অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে দেয় । একজন সন্ত্রাসী স্বপনবাবুকে তরোয়াল দিয়ে কোপাতে গেলে তিনি তাঁর বাম হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন । সেই সময় তরবারির কোপে তাঁর বাম হাতের কব্জি থেকে বাকি অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে । প্রবল ব্যাথায় স্বপনবাবু ঘটনাস্থলে বসে পড়েন । সেই সুযোগে একজন সন্ত্রাসী তাঁর গলার নলি কেটে হত্যা করে । এই নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সকলের সামনেই ঘটে ।
জানা গেছে,নিহত স্বপন কুমার ভদ্র তারাকান্দা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি। তিনি আগে ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বজন পত্রিকায় তারাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোনো গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন না। তবে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খবর পোস্ট করতেন । শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসার পর থেকেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর সংখ্যাগুরু মুসলিমদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তিনি সোচ্চার ছিলেন । আর সেই আক্রোশেই ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা তাঁকে হত্যা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে । নিহত স্বপন কুমার ভদ্রের ভদ্রের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ছোট ছেলে রনি ভদ্র সেনাবাহিনীতে কর্মরত। স্বপনবাবুকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার পর থেকেই তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ।।