এইদিন ওয়েবডেস্ক,বসিরহাট ও খড়িবাড়ি,২৪ আগস্ট : পশ্চিমবঙ্গের ২ জেলায় ধরা পরল দুই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী । শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের স্বরূপনগরে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায় আরিফুল জামাল নামে একজন বাংলাদেশ পুলিশের একজন আধিকারীক । অন্যদিকে দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কির বর্ডার দিয়ে নেপালে প্রবেশের সময় ভূয়ো নামের আধার কার্ডসহ এক বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করেছে এসএসবি জওয়ানরা । দুই অনুপ্রবেশকারীকেই আজ আদালতে তোলা হয় ।
জানা গেছে, শনিবার রাতে বসিরহাটের স্বরূপনগরে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় আরিফুল জামাল নামে একজন বাংলাদেশীকে ধরে ফেলে হাকিমনগর সীমান্ত চৌকির বিএসএফ জওয়ানরা । কার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার হয় । এরাই আরিফুল জামাল জানায় যে তার বাড়ি বাংলাদেশের নেহালপাহাড় এলাকায় এবং সে বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ পদে কর্মরত । এদিকে প্রতিবেশী দেশের একজন পুলিশ আধিকারিকের অনুপ্রবেশে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে । তবে আরিফুলের সাফাই হলো যে শেখ হাসিনার পতনের পর সে আত্মগোপনে চলে যায় । তারপর থেকে সে ভারতে পালিয়ে আসার সুযোগ খুঁজছিল । যদিও বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারিনি এই বিএসএফ৷ রাতেই তাকে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় । পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ।
অন্যদিকে শনিবার খড়িবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কির বর্ডার দিয়ে নেপালে যাওয়ার সময় রাতুল খান(২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এসএসবি জওয়ানরা ৷ যদিও পরে জানা যায় যে ওই নামটি ভুয়ো৷ ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আধার কার্ড । জানা গেছে,পানিট্যাঙ্কির বর্ডারে চেকিংয়ের সময় ভারতীয় পরিচয় পত্র আধার কার্ড দেখায় ওই বাংলাদেশি । কিন্তু তার আধার কার্ড দেখে সন্দেহ হয় এসএসবি জওয়ানদের । তারা যুবককে তল্লাশি চালাতেই কার কাছ থেকে বাংলাদেশের পরিচয় পত্র ও বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করে৷ এরপর এসএসবি জওয়ানরা তাকে চেপে ধরতেই ওই যুবক জানায় যে তার আসল নাম হচ্ছে মহম্মদ মানিক এবং তার বাড়ি বাংলাদেশের লালমনিরহাট এলাকায় ।
ধৃত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী যুবক স্বীকার করেছে যে গত ২২শে আগস্ট এক বাংলাদেশী দালালকে ১২,০০০ টাকা দিয়ে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে সে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে ৷ এরপর মোটা টাকার বিনিময়ে পানিট্যাঙ্কির দালালের মাধ্যমে জাল ভারতীয় নথিপত্র বানিয়ে ফেলে । পুলিশ তাকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।।

