এইদিন ওয়েবডেস্ক,বরগুনা,০৬ জুন : মোবাইল চোর সন্দেহে ১০ ছাত্রীকে জোর করে মলমূত্র খাওয়ালো বাংলাদেশের একটা মাদ্রাসার তাসলিমা বেগম নামে এক শিক্ষিক ও তার পরিবার । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের বরগুনার আমতলী পৌর শহরের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় । নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে । গত শনিবার (৩ জুন ২০২৩) ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বাড়ি গেলে তাদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ বোধ করে। তাদের পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার সকালে তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাঙ্ক্ষিতা মণ্ডল জানান, সোমবার সকালে তিন ছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
জানা গেছে, মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাসলিমা বেগমের স্বামী তথা ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুর রশিদ । সে ১০ ছাত্রীকে ‘মলমূত্র’ খাওয়ানোর কথা স্বীকারও করে নিয়েছে । তবে তার পালটা অভিযোগ,’গত শুক্রবার রাতে আমার মোবাইলে আমার মেয়ে নুসরাতের ছবি তোলায় শনিবার তাদের বিচার করেছি এবং মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি ।’ যদিও ছবি তোলার অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা ।
এদিকে এই ঘৃণ্য কাজের জন্য আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে এলাকার বাসিন্দারা । ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাকরা রবিবার রাতে শিক্ষক তাসলিমা বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । যদিও আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন,এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি । অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেছেন,অত্যন্য জঘন্য ঘটনা । তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।।