এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১২ নভেম্বর : হিন্দুদের “মালাউন” বা অভিশপ্ত বলে গালাগালি দিলেন হাসান মাহমুদুল ইসলাম নামে বাংলাদেশের বিচারক । বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম অন্বেষণ ডট কমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,ওই ব্যক্তি ২৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট কোর্টে চীফ মাজিস্ট্রেট এর দায়িত্বে ছিলেন । বর্তমানে তিনি নওগাঁ জেলা দায়রা জজ কোর্টে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন । স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একজন বিচারকের মধ্যে এই প্রকার হিন্দু বিদ্বেষে প্রমাণিত যে বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগ থেকে বিচারব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদ ঢুকে পড়েছে ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,টি-২০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের পরাজয়ের পর বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে এহতেশামুল ইমরান নামক এক কট্টরপন্থী ব্যক্তি খুশির ইমোজি ব্যবহার করে ভারতকে বিদ্রুপ করে একটি ফেসবুক পোস্টে লেখে,’ইন্ডিয়া বুলছে ছেড়ে দে মা ! কেঁদে বাঁচি। ১০ উইকেটে হার !’ আর ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় সাম্প্রদায়িক মানসিকতা দোষে দুষ্ট বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম লেখেন,’খুব শান্তি পেলাম। মালাউনরা হারলে খুব ভালো লাগে ।’
এদিকে দেশের একজন বিচারকের এই প্রকার হিন্দুবিদ্বেষী মানসিকতাকে ঘিরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে । বিসিএস এবং বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে মানসিকতা যাচাই এবং তদন্তের ক্ষেত্রে গাফেলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা । পাশাপাশি আদালতে এই প্রকার সাম্প্রদায়িকতা মানসিকতা সম্পন্ন বিচারক থাকলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের স্বার্থ কতটা সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । অবিলম্বে ওই বিচারককে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবি উঠছে ।
তবে এই প্রথম নয়,ইতিপূর্বেও পুলিশ বিভাগ ও সরকারি উচ্চপদস্থদের সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে । অথচ এনিয়ে অভিযোগ উঠলে হয় তাদের লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে,নয়তো কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি । তার জেরে বাংলাদেশ জুড়ে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে কট্টর ইসলামি ভাবধারা ।।
ছবি ও তথ্য : অন্বেষণ ডট কম ।