এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৪ আগস্ট : হিন্দু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় শুরু করেছে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী । সম্প্রতি ফেসবুকে একটি চাঁদার টোকেনের ছবি ভাইরাল হয়েছে । কৃষ্ণা বালা রানী নামে এক হিন্দু অধ্যাপিকার নামে ৫০০ টাকার চাঁদার কুপনটি “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী”র। কুপনের একেবারে উপরে লেখা হয়েছে, “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” । এরপর লেখা আছে : “তোমরা আল্লাহর পথে সংগ্রাম কর মাল ও জান দ্বারা” (আল-কোরআন)” । নিচে লেখা “বাইতুল মাল” ও “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী”৷
কুপনটি শেয়ার করেছেন ইংরাজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ব্লিটজ-এর সম্পাদক সালহাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী । তিনি ওই কুপনটি এক্স-র শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জামাতে ইসলামী বাংলাদেশে হিন্দু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় শুরু করেছে ! সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় দপ্তর ইসলামোফ্যাসিস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ঢাকায় মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছে, প্রাপ্ত প্রমাণ অনুসারে, মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা জামায়াতে ইসলামী ১ আগস্ট, ২০২৫ থেকে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় শুরু করেছে। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ঢাকায় ইসলামপন্থী ও জিহাদিদের প্রতি নির্লজ্জ সমর্থন এবং হিন্দু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নিপীড়ন উপেক্ষা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করার কারণ হল – মার্কিন ডিপ স্টেট এবং তার দীর্ঘদিনের গোপন গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় সহযোগিতা – পাকিস্তানি আইএসআই বাংলাদেশকে পশ্চিমা প্রক্সি যুদ্ধের পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার জঘন্য নীলনকশা তৈরি করছে।’
তবে বাংলাদেশের কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে যে কৃষ্ণা বালা রানী স্বীকার করেছেন তিনি স্বেচ্ছায় এই চাঁদা দিয়েছেন । কৃষ্ণা বালা রানী তার ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে উল্লেখ করেন, “অনেকে বলছে জামায়াত জোর করে আমাদের থেকে টাকা নিচ্ছে। আসলে বিষয়টা একদম ভিন্ন। আমাদের ফ্যামিলি থেকে অনেক আগে থেকেই একটা আর্থিক অংশ অমুসলিম শাখায় আমরা জামায়াতকে সদিচ্ছায় দিয়ে থাকি। আমার ছোট বোন, মেজো বোন, দাদারা সবাই কম-বেশি দিয়ে থাকেন এবং এই টাকা গুলো আমাদের সমাজের কল্যাণের জন্য তারা ব্যয় করেন।” তিনি আরও যোগ করেছেন, যে এই অর্থ কোনো জোর বা প্ররোচনার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়নি। এটি মূলত সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার এবং কমিউনিটি কল্যাণের উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হয়। যদিও অনেকে মনে করছেন যে ওই অধ্যাপিকা প্রাণের ভয়ে এই বিবৃতি জারি করতে বাধ্য হয়েছেন ।।