এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৯ মে : ভারত-পাকিস্থানের যুদ্ধের আবহের মাঝেই সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ । সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজিবি৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর, সাতক্ষীরা জেলায় তিনটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এগুলো হলো- সাতক্ষীরা সদরে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, শ্যামনগরের নীলডুমুরে ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও রিভারাইন বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সাতক্ষীরার নদী সীমান্ত রয়েছে ১৬৭ কিলোমিটার, আর স্থল সীমান্ত রয়েছে ৬৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে তলুইগাছা, কুশখালী, ভোমরা, লক্ষীদাঁড়ি, খানজিয়া, ঘোনা, গাজীপুর, পদ্মাশাঁখরা, কোমরপুর, বসন্তপুর, দেবহাটা, সুলতানপুর, কাকডাঙ্গা ও ভাদিয়ালীসহ সাতক্ষীরা বিজিবির ১৫টি ও নীলডুমুর বিজিবির ১২টি বিওপি রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই ২৩ কিলোমিটার সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে । আগে ৫০০ গজ অন্তর বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করত । এখন সেই জায়গায় ৩০০ গজ অন্তর একজন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে । সাতক্ষীরা বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক সেনা বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেছেন, সীমান্তে টহল তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এসব কাজ করার জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার মুসলিম অধ্যুষিত বসিরহাট মহকুমা ৷ ইছামতি, কালিন্দী ও সোনাই নদী দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত নির্ধারণ করেছে। সীমান্তের দৈর্ঘ্য মোট ২৩৮ কিলোমিটার। মূলত কাঁটাতার বিহীন । আর এই নদীপথেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আনাগোনা বেশি বলে অভিযোগ । ফলে সীমান্তে নজরদারি রাখা বিএফএফের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ৷ এখন সেনা বৃদ্ধি করে দেদার জঙ্গি ঢুকিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নতুন কোনো ষড়যন্ত্র করছে কিনা তা বলা মুশকিল । ফলে বাংলাদেশের ওই সীমান্তে ভারতেরও বেশি করে নজরদারি চালানো উচিত বলে মনে করছেন অনেল্ব ।
আসলে, বাংলাদেশে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে পাকিস্তানপন্থী ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি । ক্ষমতায় আসার শুরু থেকেই তারা ভারতের সঙ্গে সংঘাত ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে । পাকিস্তানের ভরসায় বাংলাদেশের ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ দখল করে “গ্রেটার বাংলাদেশ” গঠনের স্বপ্ন দেখছে । কিন্তু কাশ্মীরের পহেলগামে ইসলামি সন্ত্রাসীরা ধর্ম পরিচয়ের কারনে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে গননহত্যার প্রতিশোধমূলক ভারতের “অপারেশন সিঁদূর”-তে পাকিস্তানের ল্যাজেগোবরে অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে গেছে মহম্মদ ইউনূস সহ বাংলাদেশের ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি । তবুও বাংলাদেশের মৌলবাদীদের পিতৃতুল্য পাকিস্তান যদি ভারতকে বিপাকে ফেলতে পারে, সেই সূযোগে ইউনূস তাদের “গ্রেটার বাংলাদেশ” গঠনের গোপন ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে চাইছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয় । যদিও বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যম বলছে যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে নজরদারি রাখতে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে ।।

