এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১৮ নভেম্বর : কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে জিহাদি শক্তির অভ্যুত্থানের সময় হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল । কিন্তু দু’জনেই বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে৷ বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক তাদের হস্তান্তর করার জন্য আহ্বান জানালেও ভারত এখনো সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি । এমতবস্থায় তাদের ফেরাতে ভারতের উপর দু’ধরনের চাপ সৃষ্টির কৌশলের কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান,ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৩ সালের যে অপরাধীর বহিঃসমর্পণ চুক্তি অর্থাৎ এক্সট্রাডিশন ট্রিটি। চুক্তি অনুযায়ী যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে ফেরত চাইবে। ভারত আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে আসামিদের ফেরত দেবে। অন্য প্রক্রিয়াটি হচ্ছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে। যেহেতু বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল থেকে উপযুক্ত আদালতের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের এই দুই উপায়ে দেশে ফেরত এনে সাজা কার্যকর করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজকে যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই একই শাস্তি পাবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের কারাদণ্ড। এছাড়াও রায়ে শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাইয়ে জিহাদি অভ্যুত্থানের মৃতদের দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।।
Author : Eidin

