এইদিন ওয়েবডেস্ক,ময়মনসিংহ,২৬ সেপ্টেম্বর : শারদোৎসবের ঠিক মুখেই ফের অসম্পূর্ণ দুর্গামূর্তি ভাঙচুর হল বাংলাদেশে । এবারে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরের গোবিন্দবাড়ী দূর্গা মন্দিরের আটচালায় একটি নির্মীয়মান দুর্গামূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনায় পুলিশ মহম্মদ ইয়াসিন (১৮) নামে এক মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ৷ পুলিশের দাবি ধৃত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন । যদিও স্থানীয় হিন্দুদের অভিযোগ দেশের অনান্য জায়গার মতই এখানেও আসামিকে পাগল সাজিয়ে তার অপরাধ লঘু করতে চাইছে পুলিশ।
জানা গেছে,গৌরীপুরের গোবিন্দবাড়ী দূর্গা মন্দিরের পাশেই রয়েছে আটচালা । প্রতি বছরের মত এবারেও ওই আটচালাতে দুর্গা প্রতিমা নির্মানের কাজ চলছিল। কিন্তু বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা একাধিক অসম্পূর্ণ প্রতিমা ভাঙচুর চালায় । আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি স্থানীয় হিন্দুদের নজরে পড়ে । তারা বিষয়টি পুলিশককে জানায় । এরপর ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে পুলিশ । তদন্ত শেষে পুলিশ হিন্দু যুবকদের ভাঙা মূর্তির কোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট না করার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়ে যায় । প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই পুলিশ এই নির্দেশ দিয়ে যায় বলে অভিযোগ । তাই পুলিশের অসদ উদ্দেশ্য টের পেয়ে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই ভাঙচুর করা প্রতিমার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে দেওয়া হয় । বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হতেই শেষ পর্যন্ত ঘটনার মূল আসামি মুহাম্মদ ইয়াসিন নামে এক মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয় পুলিশ ।
উল্লেখ্য,এর আগে বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজার এলাকায় দেবদেবীর প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল৷ এই ঘটনায় এক উন্মাদ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ দাবি করে যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর চর । গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বিকেলে ফরিদপুর জেলা পুলিশের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় যে ওই অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেছে ।ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহাম্মদ মোকছেদ হোসেন জানিয়েছিলেন যে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) এবং তিনি ভারতীয় নাগরিক। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় এবং তার বাবার নাম নিশি কান্ত বিশ্বাস । কিন্তু পরে জানা যায় যে সে ওই এলাকারই বাসিন্দা এবং সে মুসলিম । তবে প্রতিমা ভাঙচুরে সে আদপেই যুক্ত ছিল না । প্রকৃত আসামি স্থানীয় একজন মুসলিম যুবককে বাঁচাতেই পুলিশ এই কান্ড ঘটিয়েছিল । যেকারণে বাংলাদেশের পুলিশকে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল ।।