এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৪ জুন : বিয়েতে নিমন্ত্রণ না করায় বাংলাদেশের বরগুনার আমতলীর শাখারিয়া গ্রামে বর আবু বকর আকনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নববধূর শরীর থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট ও চারজনকে পিটিয়ে আহত করেছে । এই ঘটনায় বর আবু বকর আজ শনিবার ( ১৪ জুন) আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মোতালেব আকনের ছেলে ও রিগাল ফার্নিচারের সুপারভাইজার মহম্মদ আবু বকর বিয়ের পর নববধুকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরেন। এ সময় তিনি নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়নে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় আউয়াল মাদবর, কদম আলী মাদবর ও বশির ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা নববধুর শরীরে থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে বর আবু বকর আকনের বাবা মোতালেব আকন (৬০), ভগ্নিপতি ইউসুফ আকন (৪৬), বোন রিপা আক্তার (২৫) ও জুলেখা আক্তার (৩৬) কে মারধর করে আহত করা হয়। আহতদের চিকিৎসা করা হয় । বর আবু বকর বলেন,’নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরপরই ওই সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমার স্ত্রীর গহনা লুট করে নেয় এবং আমার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
ঘটনার পরের দিন বর আবু বকর ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়ে কদম আলী মাদবর বলেন, ‘আবু বকর আমার ভাগ্নে। বিয়েতে আমার অপর তিন ভাগ্নেকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষোভ থেকেই বশির ফকির ও সবুজ হাওলাদার তার বাড়িতে যায়। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’।

