এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৫ জানুয়ারী : বাংলাদেশের ফরিদপুরের মধুখালীতে জিহাদিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলন্দ বসু (৬৮) ও তাঁর স্ত্রী কাকলী বসু (৬০) গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আহত হয়েছে গৃহপরিচারিকা কিশোরী প্রীতি মালো (১৫)। পুলিশের অনুমান, চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় এই হামলা চালানো হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন গ্রামে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয় । অবস্থার অবনতি হলে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে।
আহত শ্যামলন্দ বসু ও কাকলী বসু দৈনিক আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সৌগত বসুর বাবা-মা।ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জীবন কুমার মন্ডল বলেন, ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দুর্বৃত্তরা শ্যামলন্দ দাদার বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে । বাড়িতে শ্যামলন্দ দা, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দেখাশোনার জন্য প্রীতি নামে ওই কিশোরী থাকত। শ্যামলন্দ দাদার তিন ছেলে বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেন।’ তিনি বলেন, ‘রাতে হঠাৎ তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে । সেখানে গিয়ে তারা দেখে শ্যামলন্দ দা ও তাঁর স্ত্রীকে কোপানো হয়েছে এবং কাজের মেয়েটিকে কিছু দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করা হয়েছে। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ এই পরিবারের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই বলেও জানান জীবন মন্ডল। তিনি বলেন,’মনে করা হচ্ছে, চুরি করতে দেখা ফেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে ।’
আক্রান্ত দম্পতির ছেলে সৌগত বসু বলেন, ‘বাড়িতে আমার বাবা-মা ছাড়া কেউ থাকে না ও আমার অসুস্থ মাকে দেখাশোনা করত প্রীতি। তারা এখন গুরুতর অসুস্থ, পুরো ঘটনা এখনো বলা যাচ্ছে না। একজন নাকি একাধিক লোক ছিল সেটিও বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই।’ চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে সৌগত বসু বলেন, ‘বাবার অবস্থা একটু গুরুতর। মাথায় চারটি কোপ আছে। চোখের ওপরের হাড় ভেঙে গেছে। মাথার বাম পাশের খুলিতে বড় ক্ষত আছে। তবে ইন্টারনাল ইঞ্জুরি নেই। মায়ের মাথায় সেলাই আছে। প্রীতির হাতে সেলাই করা হয়েছে ।’
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মোহম্মাদ ইমরুল হাসান বলেন, ‘এটা আসলে ডাকাতির ঘটনা নয়। মূলত একটি চুরির ঘটনা। চুরি করতে আসলে গৃহকর্তা তাদের দেখে চিৎকার করে । সেই সময় তারা ওই পরিবারের ওপর হামলা হয় ।’এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা ইমরুল হাসান। তিনি জানান, এই ঘটনায় জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে।।