এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৪ নভেম্বর : বাংলাদেশের দুই জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামের এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি’র আসল উদ্দেশ্য এবারের আস্তে আস্তে সামনে আসছে । চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেপ্তারির পর ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ায় ওই দুই মৌলবাদী সংগঠন পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে কিছু পা হচ্ছে না । তারা হবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ভারতের সঙ্গে তারা যুদ্ধ করতে পর্যন্ত প্রস্তুত আছে । কিন্তু দুর্বল অর্থ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটা ছোট্ট দেশ বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী অর্থব্যবস্থার দেশ ভারতের সঙ্গে সংঘাতে কেন আসতে চাইছে এবং তাদের পিছনে কে কে আছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে । তবে এটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেছে যে জো বাইডেন-বারাক হোসেন ওবামা- বিল ক্লিনটন এবং কুখ্যাত উদ্যোগপতি জর্জ সোরসের কার্যত কাঠপুতুল বনে গেছে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস । পাশাপাশি পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে তারা অস্ত্রশস্ত্র কিনতে শুরু করে দিয়েছে । অস্ত্র ও আর্থিক মদত আসছে তুরস্ক ও কাতারের মত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকেও । সেই ভরসায় উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করে এশিয়ার আরও একটা বৃহৎ ইসলামিক দেশ গড়তে চাইছেন মহম্মদ ইউনূস ।
কিন্তু কিভাবে সম্ভব ভারতের ৮ টি অঙ্গরাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করা ? তার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহীদুজ্জামান (Shahiduzzaman) । ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এর আগে ওই জঙ্গি পাকিস্তানের কাছে পারমাণবিক বোমা চেয়েছিলেন। এখন তিনি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাছ থেকে জে-৭ যুদ্ধবিমান কিনতে বলছেন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য । তার কথায়, পাকিস্তান হল বাংলাদেশের প্রকৃত বিশ্বস্ত বন্ধু । একটা সাক্ষাৎকারে শহীদুজ্জামান বলেছেন,’পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের খুব উন্নত যুদ্ধবিমান কিনতে হতে পারে । তখন কি বলবেন সেটা আমাদের পাকিস্তান প্রীতি ? ওই যে জে-৭ যুদ্ধবিমানটা চীনা প্রযুক্তি এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সমমানের । পাকিস্তানের কাছে ওই বিমানটা কম দামে পাওয়া যেতে পারে । বিমান যদি আমরা আনি তাহলে ভারতকে খুব হতাশ করে দেবে… যেটা জয়শংকরের স্বপ্ন বাংলাদেশকে ইয়ে করা ।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে আমাদের কাছে অনেক সুযোগ আসবে । দেখেন, মনিপুরে ও মিজোরামে শুরু হয়ে গেছে । আসামে… এটা আমি সরাসরি বলে ফেলছি, বলবো… যদি স্বাধীনতাকামীরা আবার এগিয়ে আসে তাদের প্রতি মুখ ঘুরিয়ে নেওয়াটা ঠিক আমাদের মানাবে না… জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে ।’
ওই জিহাদি অধ্যাপক ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য বৃহত্তর বাংলাদেশের ম্যাপ প্রকাশ করেছে সেদেশের মুসলিমরা । আমন হাসান (Aman Hasan) নামে একজন বাংলাদেশী মুসলিম এই ম্যাপটি প্রকাশ করে শিরোনামে লিখেছে “তৃতীয় স্বাধীনতার অপেক্ষায়”৷ সে ক্যাপশনে লিখেছে, ‘সত্যি নাকি এই ধরনের মানচিত্র হতে পারে বাংলাদেশের… সব ফেসবুক বন্ধুদের নিকট জানতে চাই৷’
ওই ম্যাপে তোর পূর্ব ভারতের সিকিম, আসাম, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয় কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত রয়েছে ওই ম্যাপের মধ্যে । এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল কুখ্যাত ইসলামী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়েদার স্থানীয় পৃষ্ঠপোষক তথা বাংলাদেশের আনসার আল ইসলামের সন্ত্রাসবাদি হল এই জসিমুদ্দিন রহমানি । এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের বর্তমান ভারত বিদ্বেষী মানসিকতা সুপরিকল্পিত । এবং এর পিছনে আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদত আছে । পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক দেশগুলোর কাছ থেকেও সহযোগিতা ও সাহস পাচ্ছে বাংলাদেশের মতো একটা দুর্বল রাষ্ট্র ।
আসলে তারা আসামের খ্রিস্টান কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, নাগাল্যান্ডের খ্রিস্টান গোষ্ঠী, জম্মু কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে উসকে দিয়ে ভারতকে টুকরো টুকরো করার স্বপ্ন দেখছে এবং প্রকাশ্য মঞ্চে ঘোষণাও করছে জামাত ইসলামির কিছু সন্ত্রাসীরা । আর সেই লক্ষ্যে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে ভারতের অংশের যোগাযোগের মূল মাধ্যম ‘চিকেন নেক’ বা ‘শিলিগুড়ি করিডর’কে প্রথমে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে তারা । যে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সংলগ্ন ‘শিলিগুড়ি করিডর’ এর অদূরেই চট্টগ্রামের গভীর বনের মধ্যে এয়ার বেস পর্যন্ত তৈরির কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ । যদিও ‘শিলিগুড়ি করিডর’কে বিচ্ছিন্ন করা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, চীনেরও দীর্ঘদিনের স্বপ্ন । ফলে এই ষড়যন্ত্রে চীনেরও যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ।।

