এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৩ অক্টোবর : বাংলাদেশে বর্তমানে অলিখিত ইসলামি শাসন চলছে । আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি মূল্য চোকাতে হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের । প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতাড়নের পর জামাত ইসলামি ও বিএনপি প্রথমেই যে কাজ করেছে সেটা হল জেলন্দি কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীদের মুখ করে দিয়েছে । দ্বিতীয়ত তারা পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভাগে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ইসলামি মৌলবাদ । যেকারণে আক্রান্ত হয়েও ন্যায়বিচার পাচ্ছে না বাংলাদেশের হিন্দুরা । দুর্গোৎসবের আবহে হিন্দুরা একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হয়ে যাচ্ছে ।
রবিবার রাতে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকায় দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ইসলামি জঙ্গিরা হামলা চালায় । কিন্তু আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও সেনা ও পুলিশ শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়া লোকজনের উপরেই লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ । তার আগে গত ১১ অক্টোবর বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার সর্দারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ৫ হিন্দু পরিবারকে “X” নামে একটা জিহাদি সংগঠন সপরিবারে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি চিঠি পোস্টে পাঠিয়েছে । গত শুক্রবার ওই চিঠি পাঠানো হয় । তাদের নির্দেশ না মানলে ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিন থেকেই ওই ৫ পরিবারের সদস্যদের একে একে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । সর্দারপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ চন্দ্র বর্মন নামে এক ব্যক্তিকে পাঠানো ওই হুমকি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । এই ঘটনায় এলাকায় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী পূজা বিশ্বাস (২০) এবং একই কলজের ছাত্রী রত্না সাহার (২৪) কলেজ চত্বরের ভিতরেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । পূজা বিশ্বাস মাগুরার শালিকা উপজেলার দেবিলা গ্রামের সাধন বিশ্বাসের মেয়ে। অন্যদিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার আম গ্রামের রতন কুমার সাহার মেয়ে রত্না সাহা । পুলিশের দাবি দুর্গা পূজার আনন্দে অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরেই ওই দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ।
যদিও ইসকনের সহ সভাপতি তথা মুখপাত্র রাধারমণ দাসের সন্দেহ যে ওই দুই হিন্দু ছাত্রীকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে । এই বিষয়ে তিনি এক্স-এ লিখেছেন,’বাংলাদেশে বিজয় দশমী উদযাপন করে বাড়ি ফেরার সময় এই দুই হিন্দু মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।নোবেল শান্তি পুরস্কারের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশী হিন্দুদের কান্নাকাটি এবং অনুনয় সেন্সর করতে ব্যস্ত, অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের পাঁচ তারকা চিকিৎসা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে । ধিক্কার তোমাদের ।’
পৃথক একটা ঘটনায় জানা গেছে যে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ইটনার বড়িবাড়ি ইউনিয়নে প্রতিমা বিসর্জন শেষে বাড়ি ফেরার পথে হিন্দু মেয়েদেরকে কটূক্তি করায় সংঘর্ষ হয় । এতে তিন থেকে চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে করিমগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।নবমীর রাতে রায়সাহেব বাড়িতে রাত প্রায় ২ টার দিকে হিন্দু মেয়েদের দিকে স্থানীয় মুসলিম যুবকরা নোংরা ঈঙ্গিত করায় সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে ।।