নীরা একটি স্বপ্নের নাম
সুনীল বাবুর উপন্যাসের নায়িকা নই মোটেই,
অতীব সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মেয়ে।
স্নেহের পুতলি নীরা পুতুল পুতুল খেলে আর স্বপ্ন বোনে,
বাবুই যেমন নিপুণ সৃজনে বোনে তার ছোট্ট বাসা!
হাসলে গালে পড়ে যে নিটোল টোল
যেন উড়ন্ত রঙবাহারী প্রজাপতির পাখা।
সমুদ্র সম গভীরতা দীঘল আঁখিতারা জুড়ে;
ঠোঁটের কোণে ধূমায়িত নিকোটিনের নেশায় আসক্ত হয় প্রেমিক মন।
হৃদয়ছোঁয়া কথার তোড়ে দরদী মনের কপাট খুলে,
টুপটাপ ঝড়ে পড়া শিউলির গন্ধ মেখে,
নীরা হাজার তারার ভিড়ে খুঁজে যায় ধ্রুবতারা।
সে বিত্ত অভিলাষী নয় শুধু একটা মরমীয়া মন খুঁজে চলে,
অভিমান তারও হয় বুকের পাঁজরে পাঁজরে জন্ম নেয় পরাশ্রয়ী স্বর্ণলতা।
নির্বাক অস্ফুটে উপচে ওঠে ক্ষত বিক্ষত হৃদয় নিয়েও,
নীরাও বাঁচে অনুগল্পের শেষ পংক্তিতে,
তাকে জিতিয়ে দেই না হয় একবার…
তৃতীয় শ্রেণির কম্পার্টমেন্টে দৈনন্দিন সংসারে;
আটপৌরে শাড়িতে হলুদের ছোপ,
কলতলায় এঁটো বাসনের স্তুপে,
হারিয়ে গেছে কবেই রবীন্দ্রনাথ, শরৎ রচনাবলী
হারমোনিয়ামের রিডে ওঠে না আজ কোনো বন্দিশ
মুখের লাবণ্যে পড়ন্ত বেলার দাম্পত্য সমীকরণে।
নীরা তুমি কি আজও তেমনি আছো?
অসময়ে অবসরে পড়ে না কি মনে একবারও…
কিশোরীর চপলতায় ফিরে এসো দিনান্তের গন্তব্যহীন পাহ্ন হয়ে…