শুধু মানবদেহে নয় ক্যান্সার বাসা বাঁধছে সমাজের কোণায় কোণায়,
সমাজিক অবক্ষয়, স্বজনপোষণ আজ ক্যন্সারের রুপ ধারণ করেছে।
সমাজের বুকে সৃষ্টি করছে গভীর দগদগে ক্ষত,
কোমোথেরাপি ও রেডিয়েশানেও সামাজিক দেহকোষ নষ্ট হয়না।
কিছু অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ বাদ দিয়েও এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়না,
সমাজ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত ধুঁকছে।
ডাক্তারী বিদ্যা এখানে কোন কাজে লাগে না,
সমাজিক কাঠামোর পরিবর্তনের ভীষণ প্রয়োজন।
বেকারত্ব, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন চলছে অহরহ,
উশৃঙ্খলতা, স্বৈরাচার ভয়াবহ ক্যান্সারের প্রতীকী রূপ।
সমাজকে গ্রাস করছে ধীরে ধীরে অবিরাম,
একটি অঙ্গকে বিনষ্ট করে অন্য একটি অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে।
ভালোটুকু নিঃশেষ করে দিয়ে মন্দের হচ্ছে অভিষেক,
সামাজিক জাঁতাকলে মানুষের জীবন হচ্ছে জেরবার।
সমাজ আজ কর্কটের কাছে নতি স্বীকার করেছে,
সাঁড়াশি আক্রমণে সে আজ কোণঠাসা, পরাভূত।
সাঁড়াশির মতো দাঁড়া দিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি গিলে খাচ্ছে,
কর্কট সমাজকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করবে অচিরেই।
সমাজে এই কর্কট রোগের ভয়াবহতা পরিলক্ষিত হচ্ছে,
ভালো কোষগুলোকে মৃত কোষে রূপান্তরিত করছে।
এই সামাজিক কর্কট রোগ প্রতিহত করে বাঁচার রাস্তা তৈরী করতে হবে,
এই রোগ প্রতিরোধের জন্যে চাই শিক্ষা, মনোবল, ধৈর্য্য, আর প্রতিবাদ।।