তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম
তুমি সেদিন কালো রঙের গাউন পড়ে ছিলে
তোমাদের চিলেকোঠা আর আমাদের চিলেকোঠা
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকতো।
তুমি মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে যখন ছাদে চুল এলো করে দাঁড়িয়ে থাকতে
আমি তোমাকে আমাদের চিলেকোঠা থেকে দেখতাম।
কি অসাধারণ দেখতে তোমাকে
মাগুরে রঙ
চোখ দুটো টানটান
সত্যি তুমি অপরূপা।
আমি ঠিক দুপুর হলেই কোনো না কোনো অজুহাতে ছাদে উঠে চেয়ে থাকতাম।
তুমি সেদিন ছাদে উঠতে না
আমার হৃদয় জুড়ে কেবল অন্ধকার নেমে আসতো
রোদ ঝলমল দিনেও আমার বুকের মধ্যে অন্ধকার।
তোমাকে একটু দেখার জন্য আমার চোখদুটো ছটফট করতো।
গোটা ছাদময় ঘোরাঘুরি করতাম।
তোমাকে দেখতে না পেয়ে
নীচে নেমে লেপের তলায় লুকিয়ে কাঁদতাম।
ভীষণ কাঁদতাম।
আবার পরের দিন ছাদে উঠে দেখতাম তুমি রোদের স্নিগ্ধ আলোয় চুল শুকোচ্ছ।
আমি তোমাকে মুগ্ধ হয়ে কেবল দেখে গেছি।
তুমি এক আধ বার আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি হেসে দৌড় নীচে নেমে যেতে।
এমন ভাবেই বেশ চলছিল।
আমি যখন চাকরি পেয়ে আসাম চলে গেলাম
তিন মাসের জন্য
তোমার কথা ভেবে ভেবে ভীষণ কষ্ট পেতাম।
ভাবতাম এবার গিয়ে মাকে দিয়ে তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো।
তিন মাস পর যখন আসাম থেকে ফিরলাম
শুনলাম তোমার বিয়ে হয়ে গেছে।
সেদিন এতো কেঁদে ছিলাম
আমার চোখের জলে একটা সাগরের সৃষ্টি হয়েছিল।
আজ সবটাই গল্প কথা।
কি জানি হয়তো আমার মতোই কোনো না ঘুমানোর রাতে
আমাকেও তুমি ভাবো
আর মনে মনে বলো
এখন সবটাই গল্প কথা।।