এইদিন ওয়েবডেস্ক,বালাসোর,০৪ জুন : ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭০ জনেরও অধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যাওয়া ওই ভয়াবহ দূর্ঘটনার সময় যাত্রীরা তাদের প্রিয়জনদের বাঁচাতে কি কি উপায় অবলম্বন করেছিলেন তা একে একে সামনে আসছে । তিন শিশু সন্তানকে বাঁচাতে এক মা সেই মুহুর্তে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন । দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের পর অনেক বগি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তার মধ্যে একটা বগি উড়ে এসে পড়ে বিহারের বাসিন্দা পর্যটক দম্পতি সীতা দাস ও নন্দু দাসের কামড়ার ছাদে । গোটা কম্পার্টমেন্ট ধোঁওয়ায় ভরে যায় । সেই সময় বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে জানালার বাইরে ফেলে দেন সীতাদেবী । যদিও অলৌকিকভাবে দম্পতি ও তাদের সন্তানদের প্রাণ বেঁচে যায় ।
সীতা দাস বলেন,’রেললাইনের দুপাশে মাঠ ছিল এবং আমার মনে হয়েছিল শিশুদের বাঁচানোর জন্য এটাই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা । কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমি ভেবেছিলাম যে আমি বেঁচে না থাকলে লোকেরা আমার বাচ্চাদের জীবন বাঁচাবে । কিছুটা দুরেই আটকা পড়েছিলেন আমার স্বামী । তাই সন্তানদের বাঁচাতে আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।’
দুর্ঘটনায় সীতা ও তার স্বামী সামান্য আহত হয়েছেন । তাদের সন্তানরাও সুস্থ আছে । জানা গেছে, সীতা দাসের স্বামী নন্দু দাস প্লাম্বার হিসেবে কাজ করেন । স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন নন্দু । তারা করোমন্ডল এক্সপ্রেসের স্লিপার ক্লাসের একটা কামরায় ছিলেন । কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসোরে করোমন্ডল, শালিমার এবং মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এদিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুদিন ধরে ঘটনাস্থলেই রয়েছেন । মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, তিনি ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং পরিবর্তনের কারণে এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন । তিনি বলেন,’এখন পুরো ফোকাস বুধবার সকালের মধ্যে রেলপথ মেরামতির দিকেই রয়েছে ।’।