এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,০৭ সেপ্টেম্বর : ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট হল দেবরাজ । আর দেবরাজের সম্পত্তির রক্ষনাবেক্ষণ করা এবং এলাকার প্রমোটারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করাই প্রধান কাজ ছিল উত্তর ২৪ পরগণা বাগুইয়াটি (Baguiati) থানার আইসির । বাগুইআটি থেকে দুই নিখোঁজ ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এই ভাষাতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগুইয়াটি থানার পুলিশ ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ।
বাগুইআটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর বসিরহাটের মর্গে তাদের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে । জমেছে তীব্র ক্ষোভ । বুধবার দুপুুরে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,বাগুইআটি থানার ওসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করা হয়েছে । কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নয় নিহতদের পরিবার পরিজন ও এলাকার মানুষ । উঠছে সিবিআই তদন্তের দাবি । তবে সিবিআই নয়, ঘটনার তদন্ত সিআইডিকে দিয়ে করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার ।
বাগুইয়াটির জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে এদিন সৌমিত্র খাঁ রাজ্য পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন । সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বাগুইয়াটির আইসি ভাইপো(অভিষেক) বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট দেবরাজের সম্পত্তির রক্ষনাবেক্ষণ করেন । বাগুইয়াটি থানার আইসিরা কখনো ভালো কাজ করে না । সেখানকার আইসিরা প্রমোটারদের কাছে টাকা তোলার কাজ করেন । সেখানে যা কিছু হয় তার সবকিছুতেই দেবরাজের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ।’ দুই ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশের নিষ্ক্রিয় থাকার পিছনেও দেবরাজের হাত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন । পাশাপাশি এই ঘটনার পর দেবরাজকে দলীয় ভাবে শোকজ করা উচিত বলেও জানান তিনি ।
অন্যদিকে আসানসোলে মলয় ঘটকের একের পর এক বাড়িতে সিবিআই হানার পরেও কিছু খুঁজে না পাওয়ায় সৌমিত্র খাঁ বলেন,’মলয় ঘটক এক বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ । তিনি জানেন কখন কোথায় কীভাবে রাখতে হয় । তাই এটা মলয় ঘটকই বলতে পারবেন । তবে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে কয়লা কেলেঙ্কারির কথা তো অস্বীকার করা যায়না ।’ জানা গেছে,এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে আবার নোটিশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) । আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।।